38 C
আবহাওয়া
৬:০৩ অপরাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শার্শায় উপজেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ বর্জনের ঘোষণা

শার্শায় উপজেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ বর্জনের ঘোষণা

শার্শায় উপজেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ বর্জনের ঘোষণা

বিএনএ, যশোর: গণমাধ্যম কর্মীদের কাজে অসহযোগীতা অসস্মান ও অসৌজন্যমুলক আচরণের কারণে যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশীর সবধরনের সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমকর্মীরা একটি বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে সংবাদ বর্জনের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কোন সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে তার অফিস কক্ষে ঢোকার অনুমতি বা তথ্য প্রকাশে অনীহা করেন। নির্বাচনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের পর্যবেক্ষণ কার্ড দিতে নানানভাবে হয়রানি করেন।

এছাড়াও এশিয়ান টিভির ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান অতিথি করে দাওয়াত দিলে তিনি গ্রহণ করেন। তবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে তিনি সাংবাদিকদের দুই ঘন্টা অফিসের নিচে দাঁড় করিয়ে রেখে পরে জানান তিনি নিচে নামতে পারবেন না। এখানে র‍্যালি হবেনা, কেক যদি অফিসে আনতে পারেন তবে কেটে দিচ্ছি। এদিন তার তেমন কোন গুরুত্বপূর্ন কাজ ছিলনা তারপরেও অনুষ্ঠান নিয়ে এমন আচরণ মর্মাহত করেছে গণমাধ্যমকর্মীদের।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান দেখবেন বলে আশ্বস্থ করলেও গত তিনদিনে এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের সংবাদ বর্জনের ডাক দেন।

শার্শা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইয়ানুর রহমান জানান, ২৫ বছর ধরে শার্শা উপজেলাতে সাংবাদিকতা করছি। উপজেলা প্রশাসন ও সাংবাদিক সমাজ একে অপরের সহযোগিতা করেছি। তবে বর্তমান ইউএনও নয়ন কুমার রাজবংশীর মত এমন অসামাজিক কর্মকর্তা আগে দেখিনি।

বেনাপোল বন্দর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শেখ কাজিম উদ্দীন বলেন, বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসের বাইরে বের হন কম, অফিসে বসে সময় পার করেন।এতে নানা অনিয়ম বেড়েছে এলাকায়। আইন শৃঙ্খলার দারুণ অবনতি হয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে এমন ইউএনওকে প্রত্যাহার চাইছি।

সাংবাদিক নেতা আমিনুর রহমান জানান, এলাকার মানুষের সাথে মিলেমিশে উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করবেন ইউএনও, কিন্তু তিনি মানুষের সাথে মিশতে চান না। তার কাছে সব থেকে বেশি অবহেলার পাত্র সংবাদকর্মীরা। কাউকে মূল্যায়ন করেননা তিনি। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক সবাই তার এমন আচরণে ক্ষুব্ধ।

দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার সাংবাদিক আনিছুর রহমান জানান, মানুষের সাথে যিনি মিশতে সংকোচবোধ করেন তিনি কিভাবে শার্শার মানুষের অভিভাবক হবেন। আমরা এ উপজেলাতে একজন সামাজিক নির্বাহী কর্মকর্তা চাই।

বেনাপোল বন্দর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার আজিজুল হক জানান, দেশ আধুনিক থেকে স্মার্টের দিকে যাচ্ছে। প্রশাসন আর সাংবাদিক উভয়ের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে সে উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হয়। ইউএনও নয়ন কুমার রাজবংশী পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।

সীমান্ত প্রেস ক্লাব বেনাপোলের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভির প্রতিনিধি আইয়ুব হোসেন পক্ষী জানান, বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত উপজেলার সব সংবাদ বর্জন থাকবে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক এমন আচরণে ক্ষোভ জানিয়ে সংবাদ বর্জন ও প্রত্যাহারের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন একুশে টেলিভিশন ও কালের কন্ঠ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার জামাল হোসেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের আব্দুর রহিম, এসএ টিভির শেখ নাসির উদ্দীন, চ্যানেল এস ও মানবজমিনের প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের বেনাপোল প্রতিনিধি রাসেল ইসলাম, এশিয়ান টিভির সেলিম আহম্মেদ, বাংলা টিভির আরিফুল ইসলাম, যায়যায়দিনের জিএম আশরাফ, দৈনিক লোকসমাজের প্রতিনিধি মবিরুল ইসলাম মনি, দৈনিক যশোর পত্রিকার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, দৈনিক রানারের আরিফুজ্জামান, গ্রামের কন্ঠ পত্রিকার জাহিদ হাসান, যশোর বার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, সাংবাদিক সুমন, ইকরামুল ইসলাম, মেহেদী হাসানসহ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

বিএনএনিউজ/ সোহাগ হেসেন/ বিএম/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ