বিএনএ ঢাকা: বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ যোগ দিতে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সময় রোববার (৩১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিআইপি ফ্লাইটটি গ্লাসগোতে পৌঁছায়।
এরআগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
সোমবার পহেলা নভেম্বর সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয় তুলে ধরবেন তিনি।
পাশাপাশি কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায় রাজাপাকসের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, ব্রিটিশ প্যাভিলিয়নে ‘অ্যাকশন অ্যান্ড সলিডারিটি-দ্য ক্রিটিক্যাল ডিকেড’ শীর্ষক বৈঠকে অংশ নেবেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।
একইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। প্রধানমন্ত্রী ‘কপ-২৬’-এর ভিভিআইপি সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় স্কটল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি কতৃর্ক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে স্কটিশ প্যাভিলিয়নে ‘ওমেন অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দুপুরে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। পরে কমনওয়েলথ সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। বিকেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রিন্স চার্লস।
এরপরই ইউকে সভাকক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। এদিন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছাড়াও সভাকক্ষ-৪-এ ‘ফোর্জিং এ সিভিএফ কপ-২৬ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি প্যাক্ট’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে অংশ নেবেন। এরপরই ‘ওয়াল্ড লিডার্স সামিট’র সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
সন্ধ্যায় স্কটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি স্কটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ ভিশন ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক ভাষণ দেবেন তিনি।
বুধবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে করে লন্ডন যাবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। ওইদিন লন্ডনে পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোইলে।
সেখানে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ : বিল্ডিং সাসটেইনেবল গ্রোথ পার্টনারশিপ’, লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
৯ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে করে প্যারিস যাবেন। ওইদিন এলিসি প্যালেসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। একইদিন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্সের সঙ্গে ফ্রান্সের সরকারি বাসভবন ম্যাটিগননে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া, ইউনেসকোর সদর দফতরে ‘ইউনেসকো-বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর দ্য ক্রিয়েটিভ ইকোনমির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও একই স্থানে ইউনেসকোর ৭৫তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ দিনের সরকারি সফর শেষে ১৪ই নভেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি