28 C
আবহাওয়া
৭:২৫ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভয়ানক মাদক এলএসডি  বিক্রিতে  ১৫টি গ্রুপ জড়িত

ভয়ানক মাদক এলএসডি  বিক্রিতে  ১৫টি গ্রুপ জড়িত

রাজধানীতে ভয়ানক মাদক এলএসডি বিক্রিতে ১৫টি গ্রুপ জড়িত

বিএনএ ঢাকা: দেশে লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড বা এলএসডি মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে ১৫টি গ্রুপ জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)। রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি গ্রুপের  পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তারা হলেন- বিএম সিরাজুস সালেকীন (২৪),নাজমুল ইসলাম (২৪),সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), এসএম মনওয়ার আকিব (২০) ও নাজমুস সাকিব (২০)।যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই শিক্ষার্থী।

রোববার (৩০ মে) রাতে পল্টন থানায়  এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আবদুল আহাদ।

তিনি বলেন, শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলএসডি সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভয়ঙ্কর মাদক ২ হাজার মাইক্রোগ্রাম এলসডি, আইস ও গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত এক বছর ধরে তারা এলএসডি সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত আছে । অনলাইনে ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আসক্ত হয়ে এলএসডি সেবন শুরু করে তারা। মূলত বিদেশ থেকে এলএসডি মাদক সংগ্রহ করে শিক্ষার্থী। রাজধানীতে ১৫টি গ্রুপ রয়েছে যারা এলএসডি বিক্রি করে আসছে। গ্রুপগুলো গত এক বছর ধরেই এই এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত।

এই ১৫টি গ্রুপকে শনাক্ত করা গেছে কি-না জানতে চাইলে ডিসি  আবদুল আহাদ বলেন,  প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তারা সরাসরি ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। অনলাইনের মাধ্যমে এলএসডি মাদক নিয়ে আসতো। তবে তাদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

তারা কোনো দেশ থেকে এলএসডি নিয়ে আসতো জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা মূলত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এলএসডি নিয়ে আসতো। ১৯৩৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একজন বিজ্ঞানী ওষুধ হিসেবে এলএসডি আবিষ্কার করেন। পরে এটি মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

দেশে এলএসডি কিভাবে আসে এমন প্রশ্নের ডিসি মতিঝিল বলেন, কুরিয়ার ও ল্যাগেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে এলএসডি আসে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যু তদন্তে ভয়ংকর মাদক ‘লাইসার্জিক এসিড ডাইথ্যালামাইড’ তথা এলএসডি সেবন ও ব্যবসার বিষয়টি আলোচনায় আসে।

জানা গেছে, টিএসসিভিত্তিক সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হাফিজুর রহমান।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের ইমাম মুজিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর ১৫ মে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলা নিজেই কেটে ফেলেন। তখন হাফিজুর মারা গেলেও তার পরিচয় শনাক্ত হয়নি।

তার মৃত্যু তদন্ত করতে গত বুধবার ২৬ মে রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডি ও লালমাটিয়া এলাকা থেকে হাফিজের বন্ধুসহ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তিন তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ।তাদের কাছ থেকে ভয়ানক মাদক এলএসডির ২শটি ব্লট (মেশানো কাগজ) উদ্ধার করা হয়। এরপরই আলোচনায় আসে এলএসডি।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ