27 C
আবহাওয়া
১২:১৮ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিচার চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার

বিচার চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার

বিচার চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার

বিএনএ, সাভার : ঢাকার ধামরাইয়ে বিচার চাইতে গিয়ে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লার কাছে ফের মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রমজান (২৬) নামে এক অটোরিকশা চালক।মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরকারী ধামরাই উপজেলার ৭নং গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা।

ভুক্তভোগী রমজান ও তার ভাই রুবেল ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের গাঙ্গুটিয়া গ্রামের আব্দুল বাছের আলীর ছেলে। সে বারবাড়িয়া-কাওয়ালীপাড়া আঞ্চলিক সড়কের অটোরিকশা চালক।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বারবাড়িয়া থেকে কাওয়ালীপাড়া যাচ্ছিলো রমজান। পথে যাত্রী তুলতে গেলে অপরদিক থেকে আসা ইজিবাইক চালক শুক্কুর তাকে বাঁধা দেয়। এতে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রমজানকে মারধর করে সে। পরে এ ঘটনার বিচার নিয়ে কাওয়ালীপাড়ায় সড়কের (বারবাড়িয়া-কাওয়ালীপাড়া) ইজিবাইকের লাইনম্যান জাহাঙ্গীরের কাছে গেলে সেখানে তার ছেলের কাছে আরেকদফা মারধরের শিকার হয় রমজান। পরে এ ঘটনার বিচার চাইতে চেয়ারম্যান কাদের মোল্লার কাছে পাঠায় তার ভাই রুবেলকে। সেখানে বিচারের আর্জি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে রুবেলকে ধরে মারধর করে চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা।

ভুক্তভোগী রমজান বলেন, এই সড়কে ইজিবাইক চালকরা অটোরিকশা চালকদেরকে যাত্রী তুলতে দিতে চায় না। সেদিন আমি কাওয়ালীপাড়া যাচ্ছিলাম। পথে যাত্রী তুলতে গেলে শুক্কুর আমাকে বাঁধা দেয়। তবুও আমি যাত্রী তুলতে গেলে সে আমাকে মারধর করে। পরে আমি কাওয়ালীপাড়ায় ইজিবাইকের লাইনম্যান জাহাঙ্গীরের কাছে বিচার নিয়ে গেলে যাত্রী তুলছি শুনে তার ছেলে রাজীব আমাকে আবার মারধর করে। এরপর আমি বাড়ি এসে আমার ভাইকে জানাই। পরে সে বিচারের জন্য বারবাড়ীয়ায় লাইনম্যান আবুলকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যান কাদের মোল্লার কাছে যায়। এসময় তিনি হোটেলে বসে খাচ্ছিলেন। পুরো ঘটনা শোনার পরপরই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ভাইকে মারধর করেন। মারধরের পর ভুলও স্বীকার করে তিনি বলেন শবে বরাতের পুরো রাত নামাজ পড়ার কারণে মেজাজ খারাপ ছিলো, তাই মেরেছেন।

জানতে চাইলে কাওয়ালীপাড়ার লাইনম্যান রাজীব বলেন, ওই ছেলেটা বিচার চাইতে আসছিলো। কিন্তু সে শুধু নিজে মার খেয়েছে জানায়। কিন্তু আমাকে ইজিবাইক চালক জানায় সেও মার খেয়েছে। পরে আমাদের সামনে শুক্কুর তাকে মারতে গেলে আমরা থামাই। আর বলে দেই চেয়রাম্যানের কাছে যেতে।

তবে ছেলে রাজীব ঘটনা স্বীকার করলেও এমন কোন ঘটনার কথা জানেন না বলে মুঠোফোনে দাবি করেন লাইনের ঠিকাদার জাহাঙ্গীর। পরে অন্য নম্বর থেকে ফোন করলে তিনি বলেন, একটা তর্কাতর্কি হয়েছে। কোন মারামারির ঘটনা তো হয়নি।

এদিকে মারধরের কথা অস্বীকার করলেও একটি থাপ্পড় মারার কথা স্বীকার করেছেন ধামরাইয়ের ৭নং গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা। তিনি বলেন, আমি বাসস্ট্যান্ডে ছিলাম। তখন শুনি রমজানের ভাই রুবেল ইজিবাইক চালককে মারার জন্য রড নিয়ে আসছে। পরে আমি তাকে ডেকে এনে একটা থাপ্পড় দিয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে দেই।

তবে এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) রাসেল মোল্লা।

বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি 

Loading


শিরোনাম বিএনএ