বিএনএ,ঢাকা:পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর,স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কারণে দেশের ২১ বছরের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সেই অবস্থা থেকে উত্তরোনে তার সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করেছে বলেও জানান তিনি।
রোববার(৩১ জানুয়ারি)সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে, একাদশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত ‘মুজিববর্ষের কার্যক্রম’, ‘মুজিববর্ষ ওয়েবসাইট’এবং জাতির পিতার ভাষণের ডিজিটাল সংকলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন,জাতির পিতা মাত্র ৫৪ বছরের ছোট্ট একটি জীবন ছিল।এ সময়ের মধ্যে তিনি যে অসাধ্য সাধন করে গেছেন,তা কল্পনাও করা যায় না।একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য যা করণীয়,সবই তো করে দিয়ে গেছেন।জাতির পিতা সবকিছুর ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে গেছেন।বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর নাম দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।এমনকি তারা স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলন থেকেও বঙ্গবন্ধুর নাম এবং অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল।জিয়াউর রহমান,এইচ এম এরশাদ এবং খালেদা জিয়া বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের অনেক সংরক্ষণাগার ধ্বংস করেছেন।আওয়ামী লীগের জীবন থেকে ২৫ বছর সময় নষ্ট হয়েছে।কিন্তু যেটুকু সম্ভব হচ্ছে,সেটুকু দেয়া হচ্ছে,যা নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।সত্যকে কেউ একেবারে মুছে ফেলতে পারে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন,সরকার গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চায়।এজন্য নিঃসন্দেহে শক্তিশালী বিরোধীদল গুরুত্বপুর্ণ।নেতৃত্বের অভাবের কারণে সংসদে বর্তমান বিরোধী দলগুলো জনগণের কাঙ্ক্ষিত আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি।দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংসদের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে।
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালীন তার দিনগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি,যেখানে বিরোধীদের কথা বলার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।কিন্তু বর্তমানে সরকারের পক্ষে থেকে এ ধরনের কোনো সমস্যা তৈরি করা হচ্ছেনা।
করোনা ভাইরাস এবং ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন,মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে।ভ্যাকসিন আসার মধ্যে দিয়ে দেশ আরও শক্তিশালীভাবে করোনা মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চিপ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, মাহবুব আরা বেগম গিনিসহ অনেকে।পরে জাতীয় সংসদ কর্তৃক মুজিববর্ষের কার্যক্রম ও মুজিববর্ষ ওয়েবসাইটের উদ্বোধন ঘোষণা গ্যালারি পরির্দশন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি