বিএনএ,ঢাকা: সোমবারের মধ্যে দেশের সব জেলায় করোনার টিকা পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।প্রতিষেধক প্রয়োগের সব সরঞ্জামও প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) এক অনুষ্ঠান শেষে ডা. এবিএম খুরশীদ আলম আরও বলেন, আগামি ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গুগল প্লেস্টোরের মাধ্যমে টিকা প্রত্যাশীরা মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধন করতে পারবেন।এখন পর্যন্ত পনেরো হাজারেরও বেশি মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন।যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না তাদের উপজেলা পর্যায়ে সহায়তা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মীরা।
মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচার-প্রচারণাও চলছে-জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, যারা টিকা দেবেন,তাদের জেলাভিত্তিক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।জেলা-উপজেলায় টিকা দেয়ার বুথও তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম সারিতে স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকা দেয়া হবে। তবে টিকা নেয়ার আগে, অবশ্যই নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।
ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন,ইতোমধ্যে ৫৯ জেলায় করোনার টিকা পৌঁছে গেছে। সব ঠিক থাকলে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। করোনার টিকার দ্বিতীয় চালান আগামি মাসে দেশে আসবে।
এদিকে,দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ দেশের ২৫ জেলায় পৌঁছে গেছে করোনার টিকা। এ দফায় দেয়া হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ ডোজ। রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৭টার কিছু আগে চট্টগ্রামে পৌঁছে বহুল প্রতীক্ষিত করোনার টিকা। কাকডাকা ভোরে কড়া পুলিশ পাহারায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর রেফ্রিজারেটর ভ্যানে ৩৮টি কার্টনে ৪ লাখ ৫৬ হাজার টিকা এসে পৌঁছায়।পরে টিকাগুলো ইপিআই কোল্ড স্টোর রুমে রাখা হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি জানান,পরবর্তীকালে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে এসব টিকা।
ফেনীতে প্রথম ধাপে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা পৌঁছে দেয় বেক্সিমকো গ্রুপ। টিকা প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ৬ জন করে ১৮টি টিম বলে জানিয়েছেন ফেনীর সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান জানান, কুমিল্লায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকা পৌঁছেছে।সিভিল সার্জন কার্যালয়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন এবং ১৭টি উপজেলা হাসপাতাল কেন্দ্র থেকে এসব টিকা দেয়া হবে।
আর ভোর ৫টার কিছু পরে রংপুরে পৌঁছে ২ লাখ ৪০ হাজার ডোজ টিকা। টিকা গ্রহণ করেন সিভিল সার্জনসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এগুলো বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে রাখা হয়েছে।
রংপুরের সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় জানান, প্রথম দফায় এই টিকা গ্রহণে প্রাধান্য দেয়া হবে মুক্তিযোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের। টিকা দেয়ার জন্য উপজেলাসহ রংপুর সিটিতে তৈরি করা হয়েছে ১৩টি বুথ।
এছাড়া, পর্যায়ক্রমে নোয়াখালী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, খুলনাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় পৌঁছে গেছে দ্বিতীয় দফার এই করোনার টিকা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি