বিএনএ,ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোট ডাকাতিতে বিএনপির রেকর্ড কেউ ভাঙ্গতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত সোমবার অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ মজবুত গণতন্ত্রের বার্তা বহন করে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (৩০শে ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন,প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতিতে কোনোভাবেই যে অনিয়মের সুযোগ নেই, এর মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ব্যাপক জয় পেয়েছেন, যা শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার বহিঃপ্রকাশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক সূত্রমতে পৌরসভাগুলোতে ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে। কোথাও কোথাও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশও ভোট পড়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারে না বলে বিএনপির যে মিথ্যা অভিযোগ, তা আজ অসার প্রমাণিত হয়েছে।বিএনপির মহাসচিব বলেছেন ইভিএমে ভোট দিলে নাকি সব ভোট নৌকার বাক্সে চলে যায়৷এটা অবান্তর কথা।ইভিএমের বিরোধিতা করলেও বিএনপির প্রার্থীরা এই পদ্ধতিতে জয়ী হয়েছেন।
বিএনপির যে কোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তবে আন্দোলনের নামে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণের সম্পদ রক্ষায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
সভায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা যখন সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করছে, তখন বিএনপি মাঠে নেমে রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে চাচ্ছে।আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ী রূপ দিতে চায়।স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে ঢাকাসহ দেশব্যাপি ৩০ ডিসেম্বরকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করছে বলেও জানান তারা।
আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
