বিএনএ,ঢাকা:সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বহুল আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে। টাস্কফোর্স গঠনের পর ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের রোমান অভিযোগ করে বলেন, এ হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। হত্যা রহস্য উদঘাটনে আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়েছে।
সাগর-রুনি হত্যার পর কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। কিন্তু এ হত্যা রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি কোনো সংস্থাই। পুলিশ, সিআইডির একের পর এক হাতঘুরে মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে গেলেও নেই কোনো অগ্রগতি। ১১৩ বার পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের রোমান। নিয়োগ দিয়েছেন আইনজীবীও।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। সে সময় পাঁচ বছর বয়সি তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ ওই বাড়িতে ছিল। হত্যাকাণ্ডে রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন। মামলার পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল। মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন। র্যাবের অতিরিক্ত এসপি খন্দকার মো. শফিকুল আলম মামলার সপ্তম তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিএনএনিউজ/ আরএস