বিএনএ, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম):চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামিসহ দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার ভোররাতে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মিজিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এলাকার বেচু কাজী বাড়ির মৃত জালালের পুত্র মো.সাদ্দাম হোসেন (৩৮) ও একি ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদাবাদ (নতুন পাড়া) এলাকার আবু জাফরের পুত্র মো.জাহেদ প্রকাশ মোস্তফা জাহেদ (২৬)।
শনিবার(৩০ জুলাই) বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ (পিএসসি)।
চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ (পিএসসি) জানান,গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাশেম নগরের বাসিন্দা এক গৃহবধূকে (২২) নিজ ঘরে জিম্মি করে ৫ দুষ্কৃতিকারী। পরে তাঁরা তাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ পরবর্তীতে তাঁরা গৃহবধুকে নিজ ঘর থেকে উঠিয়ে আরও দুই স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় ধর্ষনকারীদের বাঁধা দিতে গৃহবধুর ভাগিনা ও ফুফাতো ভাই এগিয়ে এলে ধর্ষণকারীরা তাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। ধর্ষণকালে তাঁরা মুঠোফোনে ভিডিও করার পাশাপাশি বিষয়টি কাউকে জানালে গৃহবধুকে হত্যা করা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ঘটনার পরদিন শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সীতাকুণ্ড থানায় এসে পাঁচ ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান,মামলা দায়েরের পর থেকেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। তাঁরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শনিবার ভোররাতে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মিজিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান। এসময র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেন ও ৩নং আসামি জাহেদকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার পরবর্তী দুই আসামী ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে আসামিদের সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম জানান,দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ভূক্ত ভোগী গৃহবধুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা পরবর্তীতে র্যাব-৭ অভিযান চালিয়ে বাড়বকুণ্ডের মিজিপাড়া এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীসহ দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তারা।
প্রসঙ্গত,এর আগে গত ২৩ জুলাই সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোডে এক গার্মেন্টস কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। সেসময় এক রিকশাচালক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ঘটনা জানালে পুলিশ মো.ইমতিয়াজ বাপ্পি নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেন।
বিএনএ/ সবুজ শর্মা শাকিল,ওজি