বিএনএ ডেস্ক: জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পাশ হয়েছে। বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। শুক্রবার থেকে এই বাজেট কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেটের সমাপনী অধিবেশনে শুরু হয়। সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পাশ হয়।
‘কোভিড অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে গত ৯ জুন সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে নিয়ে ২১ দিন আলোচনা হলেও বাজেটে ব্যয়ের আকারসহ অন্যান্য মৌলিক ইস্যুতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এ বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম আর বাংলাদেশের ৫১তম।
প্রস্তাবিত বাজেটে পাচার হওয়া স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেশে আনার ক্ষেত্রে যে সুযোগ রাখা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। তবে কেউ ঘোষণা দিয়ে নগদ অর্থ আনতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ শতাংশ কর দিয়ে তা আনার সুযোগ রাখা হয়েছে।
একইসঙ্গে কম হারে করপোরেট কর সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংশোধন আনা হয়েছে। যেসব কোম্পানি বছরে ৩৬ লাখ টাকার বেশি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করবে, তারা কম হারে করপোরেট কর পরিশোধের সুবিধা পাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই সীমা ছিল বছরে ১২ লাখ টাকা।
এ ছাড়া সব সেবার ক্ষেত্রে ই-টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) যুক্ত করে রিটার্ন দাখিলের যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তাতেও ছাড় দেয়া হয়েছে। শুধু ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মোট বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। সেখানে রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা।
৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা বাজেটের মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় করা হবে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় করা হবে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
বিএনএ/ এ আর