38 C
আবহাওয়া
৫:০৫ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আগামী বাজেট হবে ৭ লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী

আগামী বাজেট হবে ৭ লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী


বিএনএ, ঢাকা: আগামী অর্থ বছরের জন্য এবার ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পয়লা জুন আমরা নতুন বাজেট দিতে যাচ্ছি। এবার আমরা ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিতে সক্ষম হবো।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধারাবাহিকভাবে বাজেটের পরিমাণ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের বাজেট ২০০৬ সালে মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা ছিল। আজকে সেই (গত অর্থ বছর) বাজেট আমরা ৬ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের এই যে অর্জন এটা সম্ভব হয়েছে একটি কারণে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর অনেক ঝড়-ঝাপ্টা এলেও একটা স্থিতিশীলতা রয়েছে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই দেশ উন্নত হয়।

বিএনপি আমলের সঙ্গে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেট ২০০৬ সালে মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা ছিল। আজকে সেই (গত অর্থ বছর) বাজেট আমরা ৬ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। ২০০৬ সালে দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ হতে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এ সময় দেশে চরম দারিদ্র বলে কিছু থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।

দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জিডিপির আকার ২০০৬ সালে যেখানে ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; বর্তমানে তা ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার হতে ২০২২ সালে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে। বিগত সাড়ে ১৪ বছরে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২১ এবং মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে জীবিত জন্মে ১২৩ এ নেমে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে কলহ, একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য এবং শ্রদ্ধার অভাব, জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে পড়াসহ নানান কারণে আজ মুসলমানরা পিছিয়ে পড়েছে। এই সম্মান ফিরে পেতে মুসলমানদের আবার শিক্ষা-গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে এবং বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন করতে হবে।

মুসলিমদের দখলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদ রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সম্পদকে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। আধুনিক যুগে দুঃখজনকভাবে মুসলিম বিশ্বে মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও উন্নয়নে তাদের অপর্যাপ্ত অবদানকে প্রতিফলিত করে। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিখাতে মুসলমানদের আরও প্রচেষ্টার প্রয়োজন, যাতে তারা বেশি করে অবদান রাখতে পারেন। বিশেষ করে যখন বিশ্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আইইউটির মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সাফল্যের অংশীদার এবং এ প্রতিষ্ঠানের স্বাগতিক দেশ হতে পেরে গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা হলো শ্রেষ্ঠত্ব লাভের জন্য একটি আজীবন সাধনা। আমি জেনে আনন্দিত যে, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা সামনে রেখে আইইউটি ইসলামি বিশ্বের গুণগত পরিবর্তনে সর্বদা অবদান রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আইইউটির গ্র্যাজুয়েটরা প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশ এবং ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রেই নয়, বরং সারা বিশ্বে তাদের অবদান রেখে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কূটনৈতিক দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গর্বিত স্বাগতিক দেশ এবং এর পরিচালনায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে আসছে। ভবিষ্যতেও আমরা এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সমাবর্তনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সফররত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব ও আইইউটির চ্যান্সেলর হিসেইন ব্রাহিম ত্বহা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ