বিএনএ,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ-গৌরীপুর রেললাইনে একটি সেতুতে লোহার স্লিপারের বদলে ক্ষয়ে যাওয়া পুরাতন কাঠের স্লিপারের নিচে দুটি বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। বাঁশ দুটিকে স্লিপারের সাথে আটকাতে জিআই তার দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুরাতন ক্ষয়ে যাওয়া কাঠের স্লিপার স্থানচ্যুত না হতে বাঁশের ফালি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (২৭ মে) বিকালে জেলার তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের বিসকা রেলওয়ে স্টেশন ও মজমপুর গ্রামের মাঝাামাঝি আইড়া বিলের উপর অবস্থিত রেল সেতুতে এমন চিত্র দেখা যায়।
সেতুটির দৈর্ঘ্য অন্তত ২০ ফুট, এতে ১০ টি পুরাতন ক্ষয়ে যাওয়া কাঠের স্লিপার ব্যবহার করা হয়েছে। এই সেতুটি দিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ঝারিয়া, মোহনগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও চট্রগ্রামগামী ট্রেন চলাচল করে।
স্থানীয় মাওলানা মঞ্জরুল হক বলেন, আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে একবার হরতালের সময় এই সেতু তুলে ফেলেছিল আন্দোলনকারীরা। পরে এই ব্রীজের উপর কাঠের স্লিপার বসিয়ে লাইন চালু করা হয়। এরপর ময়মনসিংহ গৌরীপুর রেললাইন নতুন করা হলেও এই সেতুটি আগের মতই রয়ে গেছে। সেই পুরাতন ক্ষয়ে যাওয়া কাঠের স্লিপারই রয়ে গেছে। কিছু দিন পর পর কাঠের স্লিপারগুলো যেন না সরে যায়। এজন্য বাঁশের ফালি ব্যবহার করে। সেতুর একটা স্লিপার একেবারেই ক্ষয়ে গেছে। ওই স্লিপারের নিচে দুটি বাঁশ ডুকিয়ে জিআই তার দিয়ে বেঁধে দিয়েছে। এগুলো অবহেলা ছাড়া কিছুই না। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
মজমপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ বলেন, যেখানে লোহা বা কংক্রিটের ঢালাই করা স্লিপার দেয়ার কথা, সেখানে দেয়া হয়েছে বাঁশ। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এলাকাবাসীর দাবি খুব দ্রুতই যেন এই বাঁশ গুলো সরিয়ে নেয়া হয় এবং মেরামত করা হয়।
স্থানীয় জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, সরকার তো আর রেললাইনে বাঁশ দিতে বলেনি। যারা এই লাইনের দায়িত্বে আছে।তারাই লোহার স্লিপারের বদলে বাঁশ ব্যবহার করেছে। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তো আমাদের মত সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে। তাই, কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই যেন এই সেতুতে লোহার স্লিপার লাগানো হয়।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকরাম আলী বলেন, বাঁশের ফালি লাগানো হয়েছে স্লিপারগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এটা আমাদের অর্থনৈতিক বা ঠিকাদারের কাজের কোন অবহেলার বিষয় না। আমাদের অনুমতির ভিত্তিতেই লাগানো হয়েছে। তবে, নতুন স্লিপার আসলে এগুলো পরিবর্তন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনএ/ হামিমুর রহমান,ওজি