বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: ভিয়েতনামে করোনা ভাইরাসের নতুন একটি ধরণ (ভ্যারিয়েন্ট) পাওয়া গেছে। দেশটির ৬৩টি পৌরসভা ও ৩০টি প্রদেশে নতুন এই ধরণে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এই ধরণটি ভারতীয় ও ব্রিটিশ ধরণের সমন্বয়ে ‘হাইব্রিড ভ্যারিয়েন্ট’ বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নুয়েন থানহ লং।তিনি বলেন, ল্যাব পরীক্ষা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এটি ভাইরাসের অন্যান্য ধরণের তুলনায় আরও বেশি শক্তিশালী এবং দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী লং জানান, এই নতুন ধরন, আগের যেকোনো ধরনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। রূপও দ্রুত বদলাতে সক্ষম। সে কারণেই ভিয়েতনামের বেশিরভাগ অঞ্চলে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। তবে করোনার নতুন ধরনের নাম ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি
২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতি ভালোভাবে সামলে বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম। তবে সম্প্রতি দেশটিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। বড় শহরগুলোতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যেই করোনার নতুন ধরন শনাক্তের ঘোষণা দিল দেশটি।
মহামারি শুরুর পর ভিয়েতনামে শনিবার পর্যন্ত আক্রান্ত ৬ হাজার ৭শর বেশি। আর গত এপ্রিলের শেষ থেকে ৬৩ প্রদেশের ৩১টিতে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ৬শ জনের। এ সংখ্যা মোট সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি।
এদিকে, গত বছরের অক্টোবর মাসে ভারতে করোনার যে ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, সেটি যুক্তরাজ্যে পাওয়া ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে কার্যকরী, কিন্তু সেটি দ্বিতীয় ডোজের পরে। প্রথম ডোজেই সুরক্ষা মেলার হার খুবই কম।
এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের নতুন কোন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমিতদের গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেয়া দিয়েছে, এমন কোনে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে,বয়স্ক এবং যাদের শারীরিক অবস্থা তুলনামূলক দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি একটু বেশি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি