বিএনএ, ডেস্ক: সোমালি জলদস্যুদের হাতে এক মাসেরও বেশি জিম্মি দশায় থাকার পর মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ আগামী ১২ মে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে। গত মধ্যরাতে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে পাথর বোঝাই শেষ করে চট্টগ্রামের পথে যাত্রা করেছে।
জাহাজ মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম–এর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানিকৃত পাথর নিয়ে চট্টগ্রাম আসছে এমভি আবদুল্লাহ। ইতোমধ্যে জাহাজে ৫৬ হাজার টন পাথর বোঝাই করা হয়েছে। মিনা সাকার বন্দর থেকে জাহাজটি চট্টগ্রামের পথে নোঙর তুলছে। আগামী ১২ মে এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে বলে তিনি জানান।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা। পরবর্তীতে মালিকপক্ষ এবং বীমা কোম্পানির সাথে আলোচনা এবং দর কষাকষির পর ৩৩ দিনের জিম্মিদশা শেষে জাহাজটি মুক্তি পায়।
গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরপরই জাহাজটি দুবাইর আর হামরিয়া বন্দরের পথে যাত্রা করে। আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাসের পর গত শনিবার রাত ৮টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। ওখান থেকে ৫৬ হাজার টন পাথর বোঝাই শেষে গতরাতে জাহাজটি চট্টগ্রামের পথে যাত্রা করেন।
এসআর শিপিংয়ের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত করা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম এমভি আবদুল্লাহ।
বিএনএনিউজ/ বিএম/এইচমুন্নী