বিএনএ, ঢাকা : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, রাজধানীতে ১১১টি ঈদগাহ ও ১ হাজার ৫৭৭টি মসজিদে মোট ১ হাজার ৭৩৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এসব জামাতের সার্বিক নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পোশাকধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। তাদের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ), কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও তাদের সহায়তায় থাকবে। সবাই মিলে সমন্বিতভাবে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হবে।
রোববার (৩০ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা দুই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিই। একটা হলো ওভার এবং আরেকটা কভার। সবকিছুতো আমরা ডিসক্লোজ করি না। অনেককিছু নিরাপত্তার স্বার্থে গোপন রাখি। ঈদে কোনো ঝুঁকি নেই, আলহামদুলিল্লাহ আমরা রমজান মাসে ঢাকাবাসী অনেক ভালো ছিলাম বলেই আমি মনে করি। আজকে শেষ দিন রমজানের, ইনশাল্লাহ আজকের দিনটিও আমরা ভালোভাবে পার করতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, , ‘ইদগাহে প্রবেশের প্রধান তিনটি গেইটে ব্যারিকেড থাকবে, যেখানে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। মৎস্যভবন, প্রেস ক্লাব ও শিক্ষা ভবন এবং ঈদ ময়দানের চারপাশে বহির্বেষ্টনী দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে।ঈদগাহ মাঠ ও আশপাশের এলাকা এসবির সুইপিং টিম এবং সিটিটিসির ডগ স্কোয়াড সুইপিং করবে। সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। সাদা পোশাকে ডিবি ও সিটিটিসি সদস্যরাও থাকবেন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের এলাকা এসবির সুইপিং টিম এবং সিটিটিসির ডগ স্কোয়াড সুইপিং করবে। সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। সাদা পোশাকে ডিবি ও সিটিটিসি সদস্যরাও থাকবেন। ওয়াচটাওয়ার থেকে মনিটরিংসহ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশিকাজে সহায়তার অনুরোধ করা হলো। কোনো প্রকার ব্যাগ, ধারালো বস্তু, দাহ্য পদার্থ নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ রইল। সবাইকে জামাত শেষে তাড়াহুড়া না করে সুশৃঙ্খলভাবে বের হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ ছাড়া সন্দেহজনক কিছু মনে হলে নিকটস্থ পুলিশ সদস্যকে জানাতে কিংবা প্রয়োজনে ৯৯৯ অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের পরামর্শ রইলো।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।