বিএনএ, ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় দুই বোনের মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাতি আক্তার (১৬) এর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে মারা যান তার বড় বোন রাহিমা আক্তার (৩২)। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো বোন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রহিমার ৪৫ শতাংশ ও জান্নাতির ১৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই ঘটনায় ভর্তি আছেন সুখি আক্তার ও ঋতু আক্তার। সাদিয়া ও আরিফকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার বার্মাশীল বাঘপাড়া এলাকার একটি টিনসেড বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে সুখী আক্তার (৩২), তার মেয়ে সাদিয়া (১০), বোন জান্নাতি (১৮), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১), ফুফাতো বোন রহিমা আক্তার (৩২) ও রহিমার মেয়ে ঋতু (১৩) দগ্ধ হন।
মৃত রহিমার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাঘপাড়া এলাকায় টিনশেড বাসাটিতে সুখি ও তার পরিবার ভাড়া থাকেন। তার স্বামী নূর মোহাম্মদ চাকরি করেন। ঘটনার ৩ সপ্তাহ আগে তাদের একটি সন্তান হয়। তাদের সেই বাচ্চাকে দেখতে স্বজনরা সেই বাসায় গিয়েছিলেন। রাতে সেই বাসায় হঠাৎ আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ওই বাসায় ঘটনার ২-৩ দিন আগে থেকে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বিষয়টি সুখি ও তার স্বামী বাড়িওয়ালাকে জানিয়েছিলেন। তবে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পরবর্তীতে গত বুধবার রাতে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে ছয়জন দগ্ধ হন।
স্বজনরা জানান, রহিমা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করতেন। ১ ছেলে ও ২ মেয়ের জননী তিনি। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালির গলাচিয়া উপজেলায়।
বিএনএ/ ওজি/ হাসনা