বিএনএ ডেস্ক: বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের অনেক অর্জন ছাপা হয় তৃতীয় পাতায় আর ভুলত্রুটি স্থান পায় প্রথম পাতায়। সেটি দেশ ও সমাজকে উপকৃত করে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক নতুন আশা পত্রিকা নবআঙ্গিকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে অনেক সময় ছোট বিষয়কে বড় করে দেখানো হয় কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখানো হয় না। এজন্য সবার সচেতন থাকা দরকার। মানুষের কাছে শুধু হতাশার চিত্র উপস্থাপন করা হলে জাতি হতাশ হবে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং একইসাথে ভুলত্রুটি দু’টিই তুলে ধরা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটি না হয়ে একপেশে হয়ে যায়। সেটি দেশ ও সমাজকে উপকৃত করে না। যখন জাতির কোনো অর্জন হয়, সেই অর্জনের চিত্রটি যেন সঠিকভাবে প্রকাশিত হয় তা লক্ষ্য রাখা গণমাধ্যমের দায়িত্ব।
হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে আইএমএফের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২১ সালে আমরা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে ছাড়িয়েছি, পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছি বহু আগেই। সেই রিপোর্ট যখন বিশ্ব গণমাধ্যম তথা ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা আর সেখানকার নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের নিজেদের দেশে প্রশংসার ঝড় বয়ে যায়নি। এই দায়িত্ব গণমাধ্যমের, কিন্তু সেটি হয়নি।
আমাদের নারী ফুটবল দল, ক্রিকেট দল, যুবদলগুলো যেভাবে বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ে শিরোপা অর্জন করেছে এগুলোর পেছনে সরকারের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, আজকে আমাদের দেশ থেকে নানা পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। সে জন্য যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, অবকাঠামো, নীতি, প্রণোদনা লাগে সরকারই সেগুলো জোগায়। আমার অনুরোধ, যখন জাতির কোনো অর্জন হয়, সেই অর্জনের চিত্রটা যেন গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। গণমাধ্যমের বিকাশের স্বার্থে যা কিছু করা দরকার আমাদের সরকার তা করছে। মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় দেশে দৈনিক পত্রিকা ছিল সাড়ে ৪শ’, আজকে সেটি সাড়ে ১২শ’র উপরে।
বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রাও শুরু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে। ২০০৯ সালে আবার তিনি সরকার গঠনের সময় বেসরকারি টিভি ছিল ১০টি। আজকে ৪৬টি লাইসেন্স দেয়া আছে। অনলাইন পত্রিকা রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৫ হাজার আবেদন পড়েছে। আগে হাতেগোণা কয়েকটি ছিল। এভাবে গত প্রায় চৌদ্দ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করলে ৩ লাখ টাকা পান, অসুস্থ হলে অনুদান পান। ট্রাস্ট থেকে অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েরা যাতে পড়াশোনার জন্য সহায়তা পায়, আমরা সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জায়গাটিও বঙ্গবন্ধু বিনামূল্যে বরাদ্দ দিয়েছিলেন স্মরণ করিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবের ২১ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন এবং প্রাথমিক নকশাও চূড়ান্ত করেছেন। এভাবে গণমাধ্যমের বিকাশে আমাদের সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিএনএ/এ আর
