বিএনএ কক্সবাজার : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১০, ১১, ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে আদালত। ঐদিন বেবি বেগমের জেরার মধ্য দিয়ে বিচারিক কাজ শুরু হবে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এদিন ধার্য করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। এরআগে সকাল ১০টায় বিচারকাজ শুরু হয়। সে সময় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে হাজির করানো হয়।
দ্বিতীয় দিনে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন আরও ৩ সাক্ষী। তারা হলেন- সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা, সালেহ আহমদ ও বেবি বেগম। তারা সবাই নানাভাবে ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে ৪ দফায় মোট ২০ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছে। তবে ১৯ জনের জেরা শেষ হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। তৃতীয় দফায় ৩ দিনে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় চতুর্থ দফায় ২ দিনে ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারী আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৪ জুন মামলার অন্য পলাতক আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অন্য ১২ আসামি। তদন্ত শেষে ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। এরপর গত ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
বিএনএনিউজ/আরকেসি