বিএনএ ঢাকা: নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বুধবার (২৯শে সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিএনপি’র আন্দোলনের নতুন জোয়ারে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হবে। তাদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। পৃথিবীতে কোনো স্বৈরশাসক, একনায়ক, ফ্যাসিস্ট শাসক টিকে থাকতে পারেনি। জনতার উত্তাল রোষের মধ্যে তাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি জেগে উঠেছে। নতুন করে বিএনপিকে সাজানো হচ্ছে। এতে করে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য সরকার ভয়ে কাঁপছে। তাই তারা বিএনপির ওপর আবার আক্রমণ শুরু করেছে। এ দেশে দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খালেদা জিয়া। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে গৃহবন্দি হয়ে আছেন তিনি। মিথ্যা মামলায় তাকে বেআইনিভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আছেন, যার প্রতিটি কথা মিথ্যা। করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু করোনা নয়, গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলেছে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে চরম অরাজকতা, দুর্নীতি ও নৈরাজ্য বিরাজ করছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় দলীয়করণ করা হয়েছে। গণমাধ্যমও নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে জনসমস্যা সমাধানে আগ্রহ নেই। তারা দেশকে একটি অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শিগগিরই পদত্যাগ করে জনগণের পাশে থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া, একত্রিত হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে আগামি নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বনা জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনএনিউজ/আরকেসি