বিএনএ ডেস্ক: দিনাজপুরে ৯ দফা দাবিতে তীর-ধনুক হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন, সাঁওতাল বিদ্রোহের মহান নেতা সিধু-কানুর ভাস্কর্য পুনর্নির্মাণ ও ভাস্কর্য ভাঙচুরসহ সারা দেশে আদিবাসীদের ঘরবাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, জমি দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দিনাজপুর শহরের সরকারি কলেজ মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। এরপর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা। এসময় কয়েক হাজার আদিবাসী নারী-পুরুষ অংশ নেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মানিক সরেন, আদিবাসী মুক্তিমোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকার মুর্মু, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঈশ্বর টুডু, ইলিয়াস মুর্মু, মনিকা মারান্ডী প্রমুখ।
এসময় তারা বলেন, বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সমতলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রায় ৩৮টি জাতিসত্তার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি আদিবাসী বসবাস করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীরা অংশগ্রহণ করে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।
তারা আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পরে কিছু দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভূমি দখল করেছে। আদিবাসীরাও এ অন্যায় অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি। এখনও আদিবাসী গ্রামগুলোতে আদিবাসীরা নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। বেশিরভাগ দুষ্কৃতকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় ও বিচারের আওতায় না আসায় আদিবাসীরা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ