35 C
আবহাওয়া
১২:২৮ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কক্সবাজার রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজার রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজার রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিএনএ ঢাকা: পর্যটন, ব্যবসা বানিজ্য ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যোগাযোগের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে। আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতে ইতোমধ্যে নতুন টার্মিনাল ভবন, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ কয়েকটি কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শুরু হচ্ছে রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ। সেইসঙ্গে দেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্রের বুকে হচ্ছে রানওয়ে।

বিমানবন্দরের ৯ হাজার ফুটের রানওয়েটি বাড়ানো হচ্ছে আরও এক হাজার ৭শ ফুট। যা শাহজালাল বিমান বন্দরের চেয়েও ২শ ফুট বেশি। থাকবে রি-ফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থাও। রানওয়ে সম্প্রসারণ হলে এ বিমানবন্দরে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা বোয়িং-৭৭৭ ও বোয়িং-৭৪৭ মডেলের প্লেনগুলো ওঠা-নামা করতে পারবে। দু পাশে সাগরের নীল জলরাশির মাঝে বিস্তৃত রানওয়েতে নামবে বিমান। এ মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।

রোববার (২৯ আগস্ট)  রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করেন তিনি।

সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আকাশপথে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটি বাস্তবায়ন করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. মাসুদুল হাসান বলেন, গত ১১ আগস্ট রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৯ হাজার ফুট রানওয়ের সঙ্গে যোগ হবে আরও ১৭শ ফুট। ইতোমধ্যে আড়াই শতাংশ কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো (সিওয়াইডব্লিউইবি)-চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)। এক হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্ধারিত প্রকল্পটি শেষ করতে সময় লাগবে দুই বছর নয় মাস।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রসারিত হতে যাওয়া ১৭শ ফুট রানওয়ের মধ্যে ১৩শ ফুটই থাকবে সাগরের পানির মধ্যে। দেশে এই প্রথমবারের মতো সমুদ্রের ভেতরে ব্লক তৈরি করে রানওয়ে সম্প্রসারিত করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় কাজ দেশে প্রথম। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে ল্যান্ড রেক্লেমেশন প্রক্রিয়ায় সম্প্রসারিত হবে এ রানওয়ে।

বেবিচক সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে কাজ দেয়া হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানকে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের চুক্তি সই হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দফতরে বেবিচক কর্তৃপক্ষ ও চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো (সিওয়াইডব্লিউইবি)-চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)-জেভির মধ্যে চুক্তি হয়। ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। প্রকল্পের আওতায় রানওয়ে ছাড়াও ৫ হাজার ১শ ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলমান।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আল-মামুন ফারুক জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ করে ইতোমধ্যে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ১২০ ফুট থেকে ২শ ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত রানওয়েতে বোয়িং-৭৩৭ এ এসে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময়ই এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফুট থেকে ১২ হাজার ফুটে উন্নীতকরণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

এদিকে, পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা জানান, বিমানবন্দরের কাজ শেষ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় পর্যটকদের ভোগান্তি যেমন কমবে তেমনি কমে আসবে যাতায়াত খরচও।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ