বিএনএ, চট্টগ্রাম : হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ( ২৯ জুলাই) ভোরে নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার কুলসুমী লোহাগাড়া উপজেলার গৌরস্থান মাঝের পাড়া আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির আনু মিয়ার মেয়ে। তার বর্তমান ঠিকানা কোতোয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জ সাঈদ ডাক্তারের ভাড়া বাড়ি।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পতেঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের জুলাই মাসে নগরের রহমতগঞ্জের একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলাকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে পোশাক কর্মী পারভিনকে গলা টিপে হত্যা করে গাছের সাঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন তার সহকর্মী কর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হলে দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
২০১৭ সালে নভেম্বর তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান মিনু। গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নন বলে জানান।
বিষয়টি তার আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ আদালতের নজরে আনেন। এরপর গত ২২ মার্চ অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে মিনুকে হাজির করা হলে ১৬ জুন তার জামিন হয়। সন্তানদের ভরণ-পোষণের মিথ্যা আশ্বাসে কুলসুম আক্তার কুসসুমীর পরিবর্তে ২ বছর ৯ মাস ১০ দিন জেল খাটেন মিনু। কারামুক্তির ১৩ দিনের ব্যবধানে ২৮ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিনু নগরীর বায়েজিদ এলাকায় ট্রাক চাপায় মারা যান।
বিএনএনিউজ২৪/আমিন