28 C
আবহাওয়া
৪:৩৯ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জামালপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বনাঞ্চল

জামালপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বনাঞ্চল


বিএনএ, জামালপুর: ২০২১ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের মোট বনভূমির পরিমাণ প্রায় ১.৪৮ মিলিয়ন হেক্টর, যা দেশের মোট ভূমির প্রায় ৭.৮৮%। যাইহোক, বন উজাড়, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং অন্যান্য কারণে, বাংলাদেশে বনের আচ্ছাদন কয়েক বছর ধরে হ্রাস পাচ্ছে।

গত কয়েক দশকে, দেশটি তার প্রাকৃতিক বনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হারিয়েছে, এবং অবশিষ্ট বনগুলি বেশিরভাগই সংরক্ষিত এলাকা এবং সংরক্ষিত এলাকায় কেন্দ্রীভূত। বাংলাদেশ সরকার জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক বন ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি সহ বন রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় সরকার জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে বনাঞ্চল করার উদ্যোগ নিয়েছে। জামালপুর সদর উপজেলা বনাঞ্চল সমৃদ্ধ এলাকা।  ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় বনাঞ্চল গড়ে উঠেছে। বনাঞ্চলের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। বনাঞ্চল গড়ার পেছনে বন ও কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করায় কৃষককূল বনাঞ্চলের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হয়েছে। এই এলাকায় সর্বত্রই  বনাঞ্চল। শ্রীপুর, বাশঁচড়া, সাহাবাজপুর,দিকপাইত, রশিদপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় কৃষকরা বিভিন্ন জাতের গাছের চারা রোপন করে বনাঞ্চল তৈরি করেছে।

বলেশ্রীপুর গ্রামের হাসেম (৪০) ও সাত্তার (৫০) জানান, জলবায়ুর প্রতিকুল প্রভাব পড়ায় বনাঞ্চল করা অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বন বিভাগ ব্যাপক সহায়তা করায় নিজ উদ্যোগে বনাঞ্চল  তৈরী করা সহজ হচ্ছে। অনেকে বন বিভাগের সহায়তায় বনাঞ্চল করার উদ্যোগ নিয়েছে। গাছ বিক্রি করে অনেকে লাভবান হয়েছে। ফলে অনেক পরিবার সচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে।

গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় সরকার গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে বন ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় বনাঞ্চল করার উদ্যোগ ব্যপক আকার ধারন করেছে।

এই উপজেলার  মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, ডোয়াইল, ডাংধরা, বাট্রাজোর, নাংলা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে পতিত জমিতে বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ রোপন করে বনাঞ্চল তৈরি করা হয়েছে।

জামালপুরে আদা চাষ জনপ্রিয় না হলেও অধিকাংশ কৃষক নিজ উদ্যোগে আদা চাষ করছে। বাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু করে ফসলি জমিতে আদা চাষ হচ্ছে। আদার দাম বেশি থাকায় পতিত জমিতে আদা চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে। ফলে আদা চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জামালপুর সদর উপজেলা নান্দিনা শহরতলির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে সবজির চাষ হয়। সবজি চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও বেগুন, লাউ, সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, করলা, লালশাক, ডাঁটাশাক, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের সবজি চাষ করেন চাষিরা। আবার পাহাড়ি ঢলে নিচু এলাকার সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে উঁচু এলাকার সবজি এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

বিএনএনিউজ/রেহানা/এইচ.এম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ