বিএনএ ডেস্ক: দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় এখনও বন্যা পরিস্থিতি চলছে। এর মধ্যেই সারাদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়াবিদরা জানান, এ সপ্তাহজুড়েই বৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে সমুদ্রবন্দরগুলোকে।
এদিকে সিলেটে আজ শুক্রবার থেকে আবার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী আজ সেখানে বৃষ্টি হয়েছে। এদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৬ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
সিলেটের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সজিব হোসেইন জানান, বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সিলেটে আবার বন্যার পানি বাড়তে পারে।
বন্যার পানি নদী ও হাওরাঞ্চল থেকে কমা অব্যাহত রয়েছে। একটি পয়েন্ট ছাড়া সুরমা, কুশিয়ারাসহ সব নদীর সব ক’টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বিকেলে ও সন্ধ্যায় কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। জৈন্তাপুরের হরিপুর-গাছবাড়ি সড়কের বিভিন্ন অংশে পানি প্রবাহিত দেখা যায়। ১২ কিলোমিটার রাস্তার এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে রয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে কানাইঘাটগামী যানবাহন চলাচল করছে। বন্যাকবলিত এলাকার অনেক গ্রামীণ সড়কে একইভাবে যান চলাচল করছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, এখন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন সুরমা, সারিগোয়াইন নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ