বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি ও হামলার মামলায় ৯ মাস পর পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আইয়ুব বাবুলকে (৬০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আওয়ামী লীগ নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মো. আইয়ুব বাবুল পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহল্লা বাড়ির মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রাম পটিয়া কক্সবাজার মহাসড়কের পৌরসদর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদের ওপর গুলি ও হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হন।
এ ঘটনায় সে বছরের ১৯ আগস্ট হামলায় আহত পটিয়া মাদরাসার ছাত্র মো. নুরুল হাসান বাদী হয়ে একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় দায়ের করে পটিয়া থানায়। সে মামলায় পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম, সাবেক পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
সে মামলায় পটিয়ার সাবেক পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়াও বিএনপি অফিসে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট, বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টাসহ আরো তিনটি মামলার তিনি এজাহারনামীয় আসামি।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পটিয়ার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব বাবুল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি ও হামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়া বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর, লুটপাটসহ একাধিক মামলার আসামি। তিনি উচ্চ আদালতের জামিনের সময়সীমা শেষে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন চাইলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ