বিএনএ, ঢাকা: চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল রোববার থেকে। করোনার পর এ বছর থেকেই পূর্ণ সময় ও পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিষয়ভিত্তিক তাত্ত্বিক পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (৩০ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসির বাংলা প্রথমপত্র, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালের বাংলা দ্বিতীয় পত্র দিয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
এবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করবে।
শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলোর এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে পাওয়া নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ডে উল্লেখিত বিষয়গুলো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ বিদ্যালয়ে বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না। সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা কেন্দ্র বা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
প্রসঙ্গত, এ বছর সারা দেশের তিন হাজার ৮১০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মোট ২৯ হাজার ৭৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। দাখিল পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন এবং এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে পরীক্ষার্থী সংখ্যা এক লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ জন।
বিদেশে আটটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেও শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে জেদ্দায় ৮৯ জন, রিয়াদে ৫১ জন, ত্রিপলীতে চারজন, দোহায় ৭৭ জন, আবুধাবিতে ৪১ জন, দুবাইয়ে ২৭ জন, বাহরাইনে ৬৫ জন এবং সাহাম ও ওমানের কেন্দ্র থেকে ২০ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
বিএনএ/এমএফ