বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : ভারতে করোনার থাবায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে। হাসপাতালগুলোতে জায়গা হচ্ছে না রোগীদের। শ্বশানগুলোতে মরদেহের লম্বা লাইন। প্রতিদিন শনাক্ত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ করোনা রোগী। এমন অবস্থায় দেশটির প্রধান শিল্পপতি, বড়লোকরা ঢুকে পড়েছেন নিজস্ব সুরক্ষা বলেয়র মধ্যে।
খবরে বলা হচ্ছে, শিল্পপতি ও দেশের সব চেয়ে সম্পদশালী ধনীরা ঢুকে পড়েছেন নিজেদের সুরক্ষা বলয়ে। অনেকে মুম্বই ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গেছেন। আম্বানি-আদানিরা দিল্লি বা মুম্বইয়ে নেই। আম্বানি সপরিবারে চলে গেছেন জামনগরে। সেখানে রিলায়েন্সের দুইটি তেল শোধনাগার আছে। তবে আম্বানি সেখানে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করেছেন, যেখানে সাধারণ মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে পারেন। তাছাড়া শোধনাগার থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করছে তারা। স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট, এই সব কাজ দেখার জন্যই মুকেশ আম্বানি জামনগর এসেছেন।
দেশের দ্বিতীয় সব চেয়ে ধনী গৌতম আদানি, তার ছেলে করণ আদানি ও পরিবারের অন্যদের নিয়ে চলে গেছেন আমেদাবাদের সামান্য বাইরে তার বাড়িতে। আদানি গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, তারা সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, দুবাই থেকে অক্সিজেন আনাচ্ছে।
ইবনফোসিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমানে বেঙ্গাবুরু ভিত্তিক একটি সংস্থার মালিক ক্রিস গোপালকৃষ্ণন জানিয়েছেন, তিনি সপরিবারে সহকর্মীদের নিয়ে বাড়ির ভিতরে আছেন। বাইরে যাচ্ছেন না। ঘরে বানানো খাবার খাচ্ছেন। বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় ছিন্ন করে দিয়েছেন। ইনফোসিসের আরেক সহ প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নীলেকার্নিও তার বেঙ্গালুরু বাড়িতেই আছেন।
তবে অনেক শিল্পপতি সপরিবারে আগেই যুক্তরাজ্য বা অস্ট্রেলিয়া চলে গেছেন। বাকিরা বাড়িতে থেকেই তাদের শিল্পসাম্রাজ্য চালাচ্ছেন। এডুকেশন অ্যাপ বাইজুর প্রধান বাইজু রবীন্দ্রনও বেঙ্গালুরুর বাড়িতে আছেন। তিনি তার কর্মীদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছেন ও সাহায্য করছে। (ডয়েচে ভেলে)
বিএনএনিউজ/ এইচ.এম।