27 C
আবহাওয়া
৬:০১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » হেফাজতকে নিষিদ্ধের দাবি ইসলামী ফ্রন্টের

হেফাজতকে নিষিদ্ধের দাবি ইসলামী ফ্রন্টের

ইসলামী ফ্রন্ট

বিএনএ,চট্টগ্রাম: ইসলামের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অস্থিরতা নিরসনে হেফাজতে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এ দাবি জানান সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ।

এ সময় ইসলামী ফ্রন্টের সাত দফা দাবিও উপস্থাপন করা হয়। সাত দফার দাবিগুলো হলো- জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করা, কওমি মাদ্রাসাকে অডিটের মধ্যে এনে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা, আলিয়া-কওমি উভয় ধারাকে অভিন্ন শিক্ষানীতির আলোকে পরিচালনা, কওমি-হেফাজতি জঙ্গিদের অর্থ ও মদদদাতা সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা, খেলাফত মজলিসের নিবন্ধন বাতিল, নারী নিপীড়ক, ধর্ষক, হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে ওঠে দ্রুত আইনে সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য হেফাজত যতটুকু দায়ী, তেমনি সরকারও দায় এড়াতে পারে না। এসব জঙ্গিবাদীদের প্রতি কঠোর না হওয়ায় তারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস পেয়েছে। কওমিদের দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমর্যাদা প্রদান করা দেশ ও জাতির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৭১’র ঘাতক-দালাল রাজাকারদের যেভাবে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে তেমন কওমিদের উদ্যোগে গঠিত স্বাধীনতাবিরোধী আরেক অপশক্তি ‘মুজাহিদ বাহিনীরও বিচার হতে হবে। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, পটিয়া, ঢাকার বড় ও ছোট কাটারা, লালবাগসহ বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসায় মুজাহিদ বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। এসব ক্যাম্পগুলোতে মুজাহিদ বাহিনী রাজাকার আলবদরের ন্যায় যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করেছিল।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন বলেন, সরকার আলিয়া মাদ্রাসার মতো কওমিদের শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। এছাড়া হেফাজতে ইসলাম বাবুনগরী এবং শফিপন্থীতে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। যে পন্থীই হোক না কেন হেফাজতকে নিষিদ্ধ করা জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাময়িক চুক্তিবদ্ধ বিয়ে হারাম ঘোষণা দিয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের শীর্ষ ৫৫১ জন আলেম প্রেরিত বিবৃতির সঙ্গে একাত্মতাও পোষণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এম এ মান্নান, সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামী, শাইখ আবু সুফিয়ান খান আবেদী, অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ, রেজাউল করিম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসাইন, মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, ওবাইদুল মুস্তফা কদমরসুলী, আব্দুন নবী আল কাদেরী, মাওলানা ফেরদৌসুল আলম খান, মাওলানা আবদুল খালেক, অধ্যক্ষ হাফেজ আহমদ কাদেরী, নাসির উদ্দীন মাহমুদ, ইয়াসিন হোসাইন হায়দরি, করিম উদ্দিন নূরী, আলী হোসাইন, অধ্যাপক আবদুর রহিম মুনিরী, আশরাফ হোসাইন, সাইদুল হক সাঈদ কাজেমী, সৈয়দ আবু আজম, অধ্যক্ষ ডি আই এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ