সোমবার(২৭ মার্চ) ইয়েমেন সীমান্তবর্তী সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় যাচ্ছিলেন। ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে। এতে মোট ২২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৮ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন।
শেফায়েত ও আসিফের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে সৌদি আরবে যান শেফায়েত উল্লাহ। এর আগে তাঁর দুই বড় ভাই সাইফুল ইসলাম ও শাহাজাহান ইসলাম সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তাঁরা তিন ভাই সৌদি আরবের আবাহা কামিছে আবাসিক হোটেলে চাকরি করেন। খালাতো ভাইয়ের সূত্র ধরে দুই বছর আগে সৌদি আরবে যান মোহাম্মদ আসিফ।
শেফায়েত উল্লাহর বড় ভাই জাহেদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে সাহরি খাওয়ার সময় সৌদি আরব থেকে ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম ফোন করেন। তিনি শেফায়েতের মৃত্যুর সংবাদ জানান। একই সঙ্গে তাঁর খালাতো ভাই আসিফও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে জানান।
শেফায়েত উল্লাহ ও মোহাম্মদ আসিফের অকাল মৃত্যুতে তাঁদের পরিবারে আহাজারি করতে থাকে। প্রতিবেশীসহ আশপাশের লোকজন তাদের বাড়িতে ভিড় করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শরীফ বাদশা বলেন, সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় মহেশখালীর দুই ওমরাহ হজ্জ যাত্রী নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি আসলে খুবই মর্মান্তিক।
বিএনএ/ শাহীন, ওজি