বিএনএ, ঢাকা: শনিবার(২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে ছিল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের তিনটি পৃথক স্থানে সমাবেশ। এ নিয়ে ছিল সকাল থেকে উত্তেজনা।
দুপুরের পর রাজধানীর কাকরাইল মোড়, বিজয়নগর ও পল্টন এলাকায় দফায় দফায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ আর হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় আহত সাংবাদিকসহ অর্ধশতজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন সাংবাদিক, ১৯ জন পুলিশ ও বাকিরা বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থক বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ও বিকালে কাকরাইলে বিএনপির মহাসমাবেশ বিষয়ক সংবাদ সংগ্রহের সময় আহত হন এ সব সাংবাদিক।
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলাকালে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নাইটিংগেল মোড় থেকে টিয়ার শেল ছুড়লে কাকরাইল, বিজয়নগর ও সংশ্লিষ্ট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি মিডিয়া ফারুক হোসেন দাবি করেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা মারধরে পুলিশের অন্তত ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ২২ জন এবং ঢাকা মেডিক্যালে ১৯ জনকে নেয়া হয়েছে।
রাজধানীর কাকরাইলে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস এবং বিক্ষুব্ধ জনতার ইটপাটকেলে তারা গুরুতর আহত হন। তাদেরকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ও বিকালে কাকরাইলে বিএনপির মহাসমাবেশ বিষয়ক সংবাদ সংগ্রহের সময় আহত হন তারা।কাকরাইলে হামলায় আহত হন মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট মারুফ হাসান।
হামলার পর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।পরে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয় ।তিনি পলিটিক্যাল নিউজ বিডি নামক একটি অনলাইনে কাজ করেন।
এছাড়া সংবাদ সংগ্রহকালে আরও আহত হন ইনকিলাবের ফটো সাংবাদিক মাসুম, বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জাফর আহমেদ, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার রাফসান জানি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার এক সাংবাদিক।একইসঙ্গে সময় টেলিভিশনের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনএনিউজ২৪, আহা, এসজিএন