বিএনএ, ঢাকা: যানবাহন নষ্ট হওয়ায় ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকা এবং সোনারগাঁয়ের চৈত্রী এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে ৪ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি কাজে বের হওয়া যাত্রীরা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। সকাল ৬টা থেকে এই যানজট শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামমুখী লেনে ১৮ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও চালকরা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নারী ও বৃদ্ধদের।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, আজ ভোরের দিকে মহাসড়কের চৈত্রী এলাকায় একটি যানবাহন বিকল হয়ে যায়। এ কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এরইমধ্যে রেকার দিয়ে ওই বিকল যানবাহনটি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। যানজট নিরসনে আমরা সবার্ত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আরিফ মিয়া নামের এক বাসচালক বলেন, সচরাচর এই সময় মহাসড়কে তেমন যানজট থাকে না। আবার আজ মহাসড়কে যানবাহনের চাপও কম। কী কারণে এমন যানজটের মাধ্যমে আমাদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হলো তা জানা নেই।
সেলিনা নামের এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, যানজটের কারণে হেঁটেই গার্মেন্টসে যেতে হচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে তবে এছাড়া তো আর যাওয়ার কোনো উপায় নেই।
তীব্র যানজটের মুখে বাসচালক থেকে শুরু করে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য মহাসড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে। এর ফলে পাঁচ মিনিটের পথ আধা ঘণ্টাতেও পাড়ি দেওয়া যাচ্ছে না।
বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/ হাসনা