20 C
আবহাওয়া
৭:৪২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মূলহোতাসহ গাড়ি চুরি চক্রের পাঁচ সদস্য আটক

মূলহোতাসহ গাড়ি চুরি চক্রের পাঁচ সদস্য আটক

মূলহোতাসহ গাড়ি চুরি চক্রের পাঁচ সদস্য আটক

বিএনএ নারায়নগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়ি চুরি চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৪।   এসব চোরাই গাড়ি তারা রাজধানীর ধোলাইখালে বেশ কয়েকটি দোকানে বিক্রি করতো বলে জানায় র‌্যাব ।

আটকরা হলেন- আজিম উদ্দিন (৩৮), রফিক উল্লাহ (২৬), সেলিম (৫০), কামরুল হাসান (২৬) ওমর ফারুক (৩৫)। তাদের কাছ থেকে  চাকু, দেশীয় অস্ত্র,পিস্তল ও মোবাইলসহ বেশ কয়েকটি চোরাই গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ আগস্ট) কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে  এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ।

তিনি বলেন, চক্রটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি চুরির সঙ্গে জড়িত। তাদের দলে ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য রয়েছে। আটক আজিম উদ্দিন গাড়ি চুরি চক্রের মূলহোতা। এর আগে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে  গাড়ি এই চুরি চক্রের বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় এই চক্রটি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গত চার-পাঁচ বছর ধরে এই চক্রটি প্রায় ২০ থেকে ২৫টি জায়গায় গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। চক্রটি এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক গাড়ি চুরি করেছে। চোরাই বিভিন্ন গাড়ি ও যন্ত্রাংশ রাজধানীর ধোলাইখালে বেশ কয়েকটি দোকানে বিক্রি করতো। কেনাবেচার সঙ্গে ধোলাইখালের ১৫ থেকে ২০টি দোকান জড়িত। গাড়ি বিক্রি ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে চুরি করে মালিকদের কাছ থেকেও প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। মূলত ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে গাড়ি চুরি করে চক্রটি। এছাড়া, কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরেও এই চক্রটি সক্রিয় বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, মুহূর্তেই যেকোনো গাড়ির লক (তালা) ভাঙা কিংবা বিকল্প চাবি ব্যবহার করে গাড়ি স্টার্ট (চালু) দিয়ে চুরি করে নিয়ে যেত এই চক্রটি। পরে গাড়ির রঙসহ নামও পরিবর্তন করতো তারা। চক্রের মূলহোতা আজিমের তিনজন ঘনিষ্ট রয়েছেন, যারা চোরাই গাড়ির নকল কাগজপত্র তৈরি, ভূয়া নম্বর প্লেট তৈরি, চোরাই গাড়ি মালিকদের সঙ্গে দাবিকৃত অর্থ আদায়ের সমন্বয় করার দায়িত্ব পালন করেন। এই আজিমের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা রয়েছে।

গাড়ি চুরির কৌশল সম্পর্কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিরে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চক্রের একটি দল বিভিন্ন স্থানে গাড়ির তথ্য নিয়ে পার্কিং, গাড়ির মালিক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। এর পর গাড়ির মুভমেন্ট সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করে। চক্রটির একটি দল এসব তথ্য সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত। প্রথম দিকে তাদের লক্ষ্যে থাকা পিকআপ-সিএনজি অটোরিকশা চালকদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। সম্ভব না হলে প্রলোভন দেখানো হয়। অনেক সময় তাদেরকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় চক্রটি। আটক গাজী মেকানিক হওয়ায় সে গাড়ির লক খোলা এবং গাড়ি স্টার্ট দিতে সক্ষম বলে জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।

মূলহোতাসহ গাড়ি চুরি চক্রের পাঁচ সদস্য আটক

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরও জানান, চক্রের অন্য একটি গ্রুপ চুরি হওয়া গাড়ির মালিকের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সঙ্গে অনিবন্ধিত মোবাইল সিম দিয়ে মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চোরাই ট্রাক, পিকআপ কিংবা সিএনজি চালিত অটোরিকশা ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি করেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে  টাকা সংগ্রহ করে তারা। দাবি অনুযায়ী টাকা পাওয়া গেলে চোরাই গাড়িটি কোনও এক জায়গায় ফেলে রেখে  গাড়িটি নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানকার তথ্য দেয় চক্রটি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান খন্দকার মঈন ।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ