বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক, ঢাকা: আফগানিস্তানে অন্তর্ভুক্তিমূলক কেয়ারটেকার গঠনের পরিকল্পনা করছে তালেবান। তবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি গোষ্ঠীটি। শুক্রবার তালেবানের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান। ওই সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তার সরকারের অনেক কর্মকর্তা। তালেবান জানিয়েছিল চলতি মাসের শেষ নাগাদ তারা সরকার গঠন করবে।
তালেবান সূত্র জানিয়েছে, কেয়ারটেকার সরকারে সব জাতিসত্তা ও উপজাতির নেতার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নতুন সরকারে নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে প্রায় এক ডজন নাম বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এই কেয়ারটেকার সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।
জাতিগত বৈচিত্র্য আফগানিস্তানের রাজনীতি ও দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। চার কোটি মানুষের দেশটিতে কোনো একক জাতিগত গোষ্ঠী কখনোই সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে থাকেনি।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় জাতিগত গোষ্ঠী হচ্ছে পশতু ভাষাভাষীরা। দেশের ৪২ শতাংশ মানুষই পশতু ভাষাভাষীর। ১৮ শতক থেকেই দেশটির রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করছে এই জাতিগত গোষ্ঠীটি।
তালেবান সূত্র জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ইসলামিক শাসনের নেতৃত্বে যিনি থাকবেন তার উপাধি হবে আমিরুল মুমিনিন। সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাউন্সিলই ভবিষ্যত সরকার গঠন ও মন্ত্রীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বরাদার রাজধানী কাবুলে এবং সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব সরকার গঠনের প্রাথমিক আলোচনার জন্য কান্দাহার সফর করেছেন। তারা সরকারে নতুন মুখ আনতে চান। এদের মধ্যে তাজিক ও উজবেক নেতাদের সন্তানরা থাকতে পারেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ