বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় আরো ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের দাবী তারা যুবলীগের কর্মী।তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার(২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার যুবলীগের কর্মী নোমান হোসেন রনি (৩২), মোবাশ্বের (২৩), আরিফুল ইসলাম (১৮) ও স্কুলশিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন (১৬)।
হাসপাতালে আহত রনির সঙ্গে থাকা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত হাসান মিয়া বলেন, তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান শাহিন মিয়ার সমর্থক। নেতাকর্মী নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এসেছিলাম।
তার অভিযোগ, সমাবেশ শেষ করে সেখান থেকে কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হই। গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এলে পেছন থেকে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরবর্তী সময়ে আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এর আগে সমাবেশের সময় তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ওই যুবকের বাম পায়ে ধাঁরালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অন্য চারজনের অবস্থাও গুরুতর। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সালাউদ্দিন মিয়া জানান, গোলাপ শাহ মাজারের পাশে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৪ জন। তবে যতটুক জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির এই ঘটনা ঘটে। বিস্তারিত তদন্ত করে বলা যাবে।
বিএনএ/ আজিজুল হাকিম , ওজি/ হাসনাহেনা