বিএনএ, ঢাকা: বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের একাংশ। দীর্ঘ ১১ বছর গত ২৩ জুলাই বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করে বাংলাদেশের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত আগামী তিন মাসের জন্য ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মো. রইজ আহমেদ মান্নাকে আহ্বায়ক করে নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে মো. মাইনুল ইসলাম এবং আরিফুর রহমান শাকিলকে। এছাড়া বাকি ২৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত, অছাত্র, বয়স বহির্ভূতদের এবং শ্রমিক নেতা নিয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয় । ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র মেনে কমিটি দেওয়ার বিধান থাকলেও বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির ক্ষেত্রে এর সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মী সমর্থকদের।
নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়কদের বিয়ের ছবি ও সন্তানদের ছবি সংবলিত প্লাকার্ড হাতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ নবগঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক দের নাম থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। মেয়রের পছন্দের হওয়ায় গঠনতন্ত্র মানা হয়নি বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বলে দাবি তাদের। এছাড়া মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নিজের লোক বসাতে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের।
নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মো. রইজ আহমেদ মান্না। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর আস্থাভাজন বলে পরিচিত। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে, এছাড়া নেই ছাত্রত্ব। বর্তমানে তিনি স্থানীয় শ্রমিক নেতা। তিনি বিয়ে করেছেন অনেক আগেই। দ্বিতীয় বিয়েও করেছেন তিনি। দুই বউয়ের সংসারে রয়েছে ২টি সন্তান।
এছাড়া নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাইনুল ইসলাম এবং আরিফুর রহমান শাকিল উভয়ের নেই ছাত্রত্ব। সম্প্রতি ঘটা করে উভয়েই বিয়ে করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব ছবি রয়েছে। এছাড়া উভয়ের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। আহ্বায়ক কমিটির ২৯ জন সদস্যের অনেকেরই পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সংশ্লিষ্টতা ও বিয়ে করার অভিযোগ।
বিএনএনিউজ/এসবি, এমএফ