বিএনএ,যশোর: নবজাতকের কি দোষ! জন্মের পরপরই অন্ধকার গলিতে ফেলে দেয়া হল। কামড় খেতে হল পিঁপড়ার।শেষতক পুলিশকেই চিহিৃত করতে হল কারাই তার জন্মদাতা। জন্মই যেন আজন্ম পাপ!
ঘটনাটি মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) যশোর উপশহরের কলাবাগান এলাকার। নবজাতকের মা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বেশ কয়েক বছর ধরে বাঘারপাড়া উপজেলার ছোটখুদড়া এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে তা শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। ফলে সে সন্তানসম্ভবা হয় এবং গতরাতে প্রসব করে।মেয়েটি সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর প্রেমিক তাকে গ্রহণ করতে চায়নি। বিয়ে করতেও অস্বীকার করে।
এমন পরিস্থিতিতে কুমারি মাতা দিশেহারা হয়ে পড়েন। অতটুকু বয়সে পরিবারের চাপ সমাজের চাপ ইত্যাদি ভাবনায় অস্থির হন। চোখেমুখে পথ দেখছিলেন না। নবজাতককে নিকটস্থ একটি বাড়ির পেছনে রাতের অন্ধকারে রেখে আসেন।
শিশুটির কান্না শুনে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ নবজাতককে উদ্ধার করে।খবর পেয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইফুল মালেক ঘটনাস্থলে যান এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এসআই সাংবাদিকদের বলেন, ‘উদ্ধারের সময় শিশুটির শরীরে ডেইয়োর (বিষাক্ত পিঁপড়াজাতীয় প্রাণী) কামড়ের চিহ্ন ছিল। রাতেই অভিযান চালিয়ে শিশুর মা ও বাবাকে শনাক্ত করে দুজনকেই আটক করি।’
যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর প্রেমিক তাকে গ্রহণ করতে চায়নি। বিয়ে করতেও অস্বীকার করে। এ ঘটনায় গেল রাতে তার (ছেলেটির) বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। বুধবার দুপুরে মেয়েটি ও তার প্রেমিককে আদালতে হাজির করা হয়।