বিএনএ বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বসিক) নির্বাচনে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তবে দলের নির্দেশনা অমান্য করে ১৮ নেতা নির্বাচনের মাঠে অনড় রয়েছেন। তাদের বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে নগর বিএনপি।
নগর বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচেনে অংশ নেয়া এসকল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় কমিটি কেন্দ্রে পত্র দিয়েছে। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, বিভিন্ন দলের মোট ২১ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সে অনুযায়ী বরিশাল সিটিতে এখন মেয়র প্রার্থী ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৪২ জন ভোটে লড়াই করবেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতারা হলেন— ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য মো. সেলিম হাওলাদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, মহানগর যুবদলের সহসভাপতি হুমায়ুন কবীর লিংকু, ১৫ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, ১৮ নম্বরে দুইদিন আগে দল থেকে পদত্যাগকারী ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউল হক মাসুম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আবদুল্লাহ জাবির, জেলা তাতীদলের সাবেক সভাপতি কাজী মো. শাহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক ইসলাম, ১৯ নম্বরে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন, ২২ নম্বরে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ শিল্পি, ২৪ নম্বরে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ, ২৬ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ২৮ নম্বরে মহানগর বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মো. হুমায়ন কবীর, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য বর্তমান ও কাউন্সিলর জাহানারা বেগম, ৯ নম্বরে সেলিনা বেগম এবং ১০ নম্বরে রাশিদা পারভীন।
বিএনপি সূত্র বলছে, তাদের আহ্বানে ৫ জন বিএনপি নেতা সাড়া দিয়েছেন। তারা হলেন— ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইদুল ইসলাম মামুন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সহ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মাইনুল হক চিশতি, ২২ নম্বরের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির ১ নম্বর সদস্য আ. ন. ম সাইফুল আহসান আজিম, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. হাবিবুল্লাহ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া।
তবে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির ১ নম্বর সদস্য আ. ন. ম সাইফুল আহসান আজিম প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলেও তার স্ত্রী মহিলা দল নেত্রী প্রার্থী হিসাবে রয়ে গেছেন। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন এর আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি মাঠে রয়ে গেছেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও নির্বাচনে অংশ নেয়া কাউন্সিলর প্রার্থী জানান, কেনো প্রার্থিতা প্রত্যাহার করব। দল থেকে বহিষ্কার করবে, করুক। আবার আন্দোলন সংগ্রামে নামলে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করি।
এ ব্যাপারে নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, কারা কারা প্রার্থী হয়েছে এর তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। এই তালিকায় যারা পদে আছেন তাদের এবং যারা পদে নেই তেমন সাবেক নেতাদের নামও থাকছে। যদিও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রত্যাহার করেছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ভেঙে তারা নির্বাচনে অংশি নিচ্ছে। তাদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ