বিএনএ, ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর আরব সাগরে নিজেদের জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে ভারত। কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা ‘দূরপাল্লার নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর জন্য প্ল্যাটফর্ম, সিস্টেম এবং ক্রুদের প্রস্তুতি যাচাইয়ের জন্য’ মহড়া চালিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীর হামলার পর এই মহড়ার মাধ্যমে ভারত হয়তো তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে (পাকিস্তান) কোনো বার্তা দিতে চাচ্ছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের মহড়া চালিয়েছে ভারতের নৌবাহিনী।
এ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো সফলভাবে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের মহড়া চালিয়েছে এবং দূরপাল্লার নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য তাদের প্রস্তুতি যাচাই করেছে। তারা আরও বলেন, ‘ভারতীয় নৌবাহিনী দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে, যে কোনো উপায়ে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।’
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। পত্রিকাটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া ব্রিফিংয়ের সঙ্গে জড়িত চার কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২২ এপ্রিলের পর থেকে এক ডজনেরও বেশি বিশ্বনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে এসব প্রচেষ্টা মূলত শান্তি আনার জন্য নয়, বরং সামরিক প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুতের অংশ। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরে তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে এবং হামলার সাথে জড়িতদের খুঁজতে শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার দেয়া এক ভাষণে মোদি ‘সন্ত্রাসের আস্তানা ধ্বংসের’ হুমকি দেন, যদিও তিনি সরাসরি পাকিস্তানের নাম নেননি।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়, আমাদের থামাতে কেউ পারবে না। যদি মোদি উত্তেজনা বাড়ানোর পথ বেছে নেন, তবে আমরা তাকে তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করব।
বিএনএনিউজ/আরএস/শাম্মী