বিএনএ, ডেস্ক: সারা দেশে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে পঞ্চমবার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি। রোববার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
এর আগে আরও চারবার গত ৩, ১৯, ২২ ও ২৫ এপ্রিল তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। তবে প্রথম দুবার তাপমাত্রা বাড়ার আভাস ছিল।
চলতি মাসে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। মাঝে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ কমলেও ফের বেড়েছে। এছাড়া টানা ২৯ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের মধ্যে লম্বা সময়ের তাপপ্রবাহ।
গত ২০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, এখনও যা বিদ্যমান আছে।
২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রেকর্ড এখনও ভাঙেনি।
বিএনএনিউজ/ বিএম