বিএনএ ডেস্ক : প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুন মাস বজ্রসহ ভারী বর্ষণের সময় হালদায় ডিম ছাড়ে মা মাছ। এ সময়টাতে হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীদের ব্যস্ততার সীমা নেই। ডিম আহরণের জন্য তারা নানান প্রস্তুতি নিচ্ছে । কেউ নতুন নৌকা তৈরি করছেন, আবার কেউ নৌকা মেরামতে ব্যস্ত, কেউ কেউ মাটির কুয়া তৈরি করছেন ডিম থেকে রেণু তৈরির জন্য।
হালদা নদী দেশে স্বাদু পানির কার্পজাতীয় মাছের প্রধান প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে হালদা নদী চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রায় ৯৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রবাহিত হয়ে মিশেছে কর্ণফুলী নদীতে।
জেলা মৎস্য কার্যালয়ের তথ্যমতে, হালদার দুই পাড়ের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রায় ৬০০ জন ডিম সংগ্রহকারী রয়েছেন, যারা প্রতি মৌসুমে হালদা থেকে ডিম সংগ্রহ করেন।
হালদা বিশেষজ্ঞরা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকায় নদীর দূষণ কমেছে। তাই চলতি বছর হালদা থেকে রেকর্ড পরিমাণ ডিম সংগ্রহের আশা করছেন তারা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরীয়া বলেন, হালদা নদীতে ডিম ছাড়ার জন্য মার্চ থেকে মাছ নদীতে অবস্থান করছে। আশা করি, এবার মাছ রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছাড়বে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রহুল আমিন বলেন, ‘প্রজনন মৌসুম সামনে রেখে মা-মাছ শিকারিরা তৎপর। তাই আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। প্রতিদিন আমাদের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হালদা নদী থেকে ২০১৮ সালে ২২ হাজার কেজি এবং ২০১৯ সালে ১০ হাজার কেজি ডিম আহরণ করা হয়। আর ২০২০ সালে ২৫ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করে রেকর্ড করেছে ডিম আহরণকারীরা।
বিএনএ/ ওজি