বিএনএ: সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশিসহ ২৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৮ জন বাংলাদেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন-নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আবুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, একই উপজেলার রাসেল মোল্লা, নোয়াখালী জেলার মো. হেলাল, লক্ষীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মো. আসিদ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন এবং চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সৌদি আরবে বাংলাদেশি দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুহেলী সাবরিন জানান, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে ৪৭ আরোহী ছিলেন, এদের মধ্যে ৩৫ জনই বাংলাদেশি। তবে, সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর কাজী এমদাদ হতাহতদের নিশ্চিত সংখ্যা কিংবা নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সুহেলী সাবরিন বলেন, নিহতদের শরীর পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সোমবার, ওমরাহ হযযাত্রীদের নিয়ে পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো বাসটি। পথে আসির প্রদেশের আকাবা শা’র এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সজোরে ব্রিজে ধাক্কা দেয়। এতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। আসির-আবাহা সংযোগ সড়কে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে যান চলাচল।
সৌদি আরবে বাংলাদেশে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে সময় রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৫ জন আহত যাত্রীর মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি (জীবিত) বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন। বাকি ১৭ জনের মধ্যে নিহত ৮ জনের পরিচয় জানা গেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নিহত বলে ধারণা করছে জেদ্দার বাংলাদেশ মিশন।
মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, এই পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে বাংলাদেশের জেদ্দা কন্সুলেটের কর্মকর্তারা ১৮ জন বাংলাদেশিকে শনাক্ত করেছেন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
বিএনএনিউজ/এ আর