24 C
আবহাওয়া
৯:৪১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ছাত্র ইউনিয়ন : কেলেঙ্কারিতে প্রথমবার ব্যর্থ, ফের ‘সম্মেলনের ডাক’ বহিষ্কৃতদের

ছাত্র ইউনিয়ন : কেলেঙ্কারিতে প্রথমবার ব্যর্থ, ফের ‘সম্মেলনের ডাক’ বহিষ্কৃতদের


নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অন্যতম প্রাচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের বিদ্রোহীদের একাংশ দ্বিতীয়বারের মতো সম্মেলনের ডাক দিয়েছে। প্রথমবারে সম্মেলন আয়োজনে ব্যর্থ হওয়ার পর ফের সম্মেলনের ডাক দিয়েছে তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সম্মেলন আহ্বান ও এজন্য প্রস্তুতি কমিটি গঠনের ঘোষণাও দিয়েছে সম্প্রতি সংগঠনের উপদলীয় তৎপরতার দায়ে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে বহিস্কৃতদের একাংশ।

তবে এই আহ্বানকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করে এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত নভেম্বরে ৪০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ২২৬ কাউন্সিলরের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। এই সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের তৃতীয় দিন শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট শুরু হলে দেখা দেয় দ্বন্দ্ব। ভোটের আগেই কাউন্সিল বয়কট করে বেরিয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির একাংশ। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলা সংসদের নেতা-কর্মীরা। কাউন্সিলের পর ভোটে নির্বাচিত কমিটিকে মেনে নিয়ে অভিনন্দনও জানান তারা।

তবে, ওই পক্ষ দেড় মাসের মাথায় নতুন সম্মেলনের দাবি তোলে। এজন্য ১১৪ জনের স্বাক্ষরও কেন্দ্রীয় কমিটিতে  জমা দেয়। কয়েকজনের স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়লে কেন্দ্রীয় কমিটি ওই নতুন সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ১৩ জানুয়ারি টিএসসিতে সভা করেন ৫৩ জন কাউন্সিলর। ওই সভা থেকে নতুন সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়। বিদ্রোহী এই অংশটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলও করে।

সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারি নতুন সম্মেলনের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তুতি কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সেসময় সারাদেশ থেকে সমর্থন না পাওয়ায় সম্মেলন আয়োজনে ব্যর্থ হয় তারা। এছাড়া সম্মেলন আয়োজনের জন্য বিকাশে অর্থ চালাচালি, ফোনে হুমকি ধমকির অডিও রেকর্ডও ফাঁস হলে পিছিয়ে যায় বিদ্রোহীরা। পরে বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে থাকা কয়েকজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারও করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

এ ঘটনার পর বিদ্রোহীদের একাংশ নতুন কমিটিকে মানলেও বহিস্কৃতদের একাংশ সংগঠিত হয়ে এক মাসের মাথায় ফের সম্মেলনের ডাক দিয়েছে।

রবিবার (২৮ মার্চ) রাতে সংগঠনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক নেতা ও বিদ্রোহীদের সংগঠক তামজীদ হায়দার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১২ এপ্রিল জরুরি সম্মেলন ডেকেছে ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হবে।

এতে আরো বলা হয়, এতে বলা হয়েছে, আগামী ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জরুরি সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিগত সম্মেলনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই এই সম্মেলনে অংশগ্রহন করবেন। সম্মেলন সফল করার লক্ষে কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি জয় রায়কে চেয়ারম্যান করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের যৌথ এক বিবৃতিতে ওই সম্মেলন আহ্বানের ঘোষণা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুই নেতার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জরুরি জাতীয় সম্মেলন সংক্রান্ত একটি সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জরুরী জাতীয় সম্মেলন সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় গ্রহণ করা হয়নি। বরং এই এজেন্ডায় গতকাল থেকেই ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির অনলাইন সভা চলছিলো। পরে সেই সভা গতকাল রাতে মুলতবি করে আজ আবারও সভার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। আজ সভা চলাকালীন সময়েই এই ধরণের একটি বিজ্ঞপ্তি সংগঠনের ঐক্য বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক, শুভানুধ্যায়ী, নেতাকর্মীদের এ ধরণের কোনো ভুয়া, বানোয়াট বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

Loading


শিরোনাম বিএনএ