বিএনএ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : পূর্ব-বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
আহতদের মধ্যে ৪৭ জন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন, কাউসার (৪২), মুখলেস (২৯), মোহন (২৫), জহুরুল হক (৩২), আব্দুল্লাহ (২৫), ছোট্ট মিয়া (৫৫), মিলন মিয়া (২৩), রিপন মিয়া (২৯), জাকির মিয়া (২৮), রিপন মিয়া (২২), আব্বাস আলি (৪৫), তানভীর (২২), আশু মিয়া (৪২), শফিকুল (৩২), রফিক (৩৮), জসিম (৩২), রিপন (২৮), আবু লাল (৪০), কাউসার (১৪), আবন মিয়া (৩০), জয়নাল (৪০), লুৎফুর (৩০), সাদেকুল (৪০), নাজমুল (২০), ওহিদ (৪০), তারেক (২০), রামিত (৩০), জসিম (২০), সিরাজ (৪৫), কুশনাহার (৪০), রাসেল (১৪), নাসির মিয়া (৪৫), ফায়েজ মিয়া (৩০), বিল্লাল মিয়া (৩৫), আব্দুল্লাহ (২৭), আবু তাহের (৯০), মোশাররফ (৩০), সাকিব (১৮), মিলন (২৮), মনা মিয়া (১৮), নাঈম (১৫), হাকিম (৩০), শামীম (৩০), আবুল হোসেন (৩৫), মোজাম্মেল (২৫), মামুন (৩৫) ও আজগর (৪০)।
স্থানীয়রা জানায়, ইউপি নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বে স্থানীয় নোয়াব আলী গোষ্ঠীর সঙ্গে কাউসার মেম্বার, হাজি ও মাইঝ গাঁওসহ অন্তত ৭টি গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছিল। গত ৬ মাস আগে কাউসার মেম্বারের মেয়ে নোয়াব আলী গোষ্ঠীর আব্দুল আহাদের ছেলে মহসীনের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ফের বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে বুধবার উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় কাউসার মেম্বারের পক্ষে হাজি গোষ্ঠী, মাইঝ গাঁও গোষ্ঠীসহ অন্তত ৭টি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি আরশাদুল ইসলাম বলেন, নারীসংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এসব ঘটনার জেড়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিএনএ নিউজ/ রেহানা/এইচ.এম/হাসনা