বিএনএ, পঞ্চগড়: হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আবারও মৌসুমের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া এর আগের বছর ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
এদিকে, রোববার সকালে সূর্যের দেখা মিললেও কাঙ্ক্ষিত উত্তাপ মিলছে না। পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে চালু রয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। এই জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকছে সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত। মাঘের শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের। প্রয়োজনীয়সংখ্যক শীতবস্ত্র ও গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রাত পার করছেন অসহায় দরিদ্র মানুষেরা। বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষের ভরসা খড়কুটোর আগুন।
সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৫০০ ও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও তা জেলার বিরাট অঙ্কের দরিদ্র মানুষের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রিকশাচালক রফিক হোসেন বলেন, শীত এলেই আমাদের কষ্ট বাড়ে। প্রচণ্ড ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে শরীর অবশ হয়ে আসে। হাত-পা নড়ানো যায় না। গত কয়েক বছরে এত ঠাণ্ডা দেখিনি। সকালে তেমন যাত্রীও নেই, তাই আয়-রোজগারও কমে গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, ২০১৯ সালের পর এটিই জেলার সবচেয়ে কম তাপমাত্রা। ধরন অনুযায়ী এটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/ বিএম