বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে পাহাড়তলীতে সহিংসতায় আলাউদ্দিনে আলো নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা করেছে পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন আলাউদ্দিনের বড় বোন জাহানারা বেগম। এই মামলায় অজ্ঞাতসহ ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন।
এসআই সোহরাব হোসেন বলেন, আলাউদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার বোন জাহানারা বেগম বাদি হয়ে ৯ আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন মো. নাছির, সাইদুল ইসলাম, জয় মিয়া, আক্তার, মো. বিল্লাল, মো. সাজু, মো. হেলাল, নাছির ওরফে কালা নাছির ও মো. ইমন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
রেলওয়ে থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, খুনের ঘটনা ঘটিয়ে জড়িতরা এলাকা থেকে পালিয়েছেন। তাদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আশা করছি জড়িত খুব দ্রুত গ্রেপ্তার হবে।
হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, আলাউদ্দিন হোটেল থেকে নাস্তা খেয়ে বাসায় ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। হামলাকারীরা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিনের সমর্থক। আমবাগান রেললাইন বস্তিতে থাকতেন আলাউদ্দিন।
আলাউদ্দিনের প্রতিবেশী এবং স্বজনদের দাবি, ওই এলাকাটির লোকজন সবাই সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণের সমর্থক। এবার হিরণ দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুর রহমানকে সমর্থন দিয়েছেন। আর বস্তিবাসীরাও মাহমুদুর রহমানের পক্ষে। ওই কারণে ভোট শুরুর আগে থেকে আমবাগান ইউসেপ স্কুল কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নেয় ওয়াসিমের অনুসারীরা।
উল্লেখ, বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমাবাগন ইউসেপ স্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তার বুকের নিচে গুলি লাগে। এরপর তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মো. আলাউদ্দিন কুমিল্লা জেলার সুলতান মিয়ার ছেলে।
বিএনএনিউজ/মনির
আরো পড়ুন : চসিক নির্বাচন : দু’গ্রুপের সমর্থকদের সংঘর্ষে যুবক নিহত