ঢাকা : বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন,বাংলাদেশ জাপানে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে এবং আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাবে। গতবছর জাপানে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিলো ৪৫ শতাংশ যা যেকোনো উন্নত দেশের চেয়ে বেশি। উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের লক্ষ্যে জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং জাপান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও জাপানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে উভয় দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তপন কান্তি ঘোষ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জাপান সফরকালে উভয়দেশ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে Strategic Partnership হিসেবে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই প্রেক্ষিতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালেও আরো একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাপানের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উভয় দেশ প্রস্তাবিত EPA সম্পাদনের লক্ষ্যে Scope এবং Coverage হিসেবে ১৭টি সেক্টর চিহ্নিত করে। সরকারি, বেসরকারি, একাডেমিয়া ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্তার মাধ্যমে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mincom.gov.bd-তে পাওয়া যাবে।
বিএনএ,এসজিএন