27 C
আবহাওয়া
৫:২৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আ.লীগের ‘স্মার্ট ইশতেহারে’ থাকছে তিন মেয়াদী পরিকল্পনা

আ.লীগের ‘স্মার্ট ইশতেহারে’ থাকছে তিন মেয়াদী পরিকল্পনা


বিএনএ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় যেতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে কাজ করবে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে ইশতেহার সাজিয়েছে দলটি।

সারা বিশ্বে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, সরকারের উন্নয়ন ও পরিকল্পনার সুফল যেন প্রান্তিক মানুষ ভোগ করে, সে পদক্ষেপ এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানসহ দেশের সব সিস্টেম স্মার্টাইজেশন করার প্রতিশ্রুতি থাকছে ইশতেহারে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০০৮ সালে ‘দিনবদলের সনদ’ শিরোনামে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানা দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসে দলটি। ২০১৮ সালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে নিরাপদ ব-দ্বীপ গড়ে তোলার পরিকল্পনা দেওয়া হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। সে সময় ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল। এবার থাকছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্য, যেখানে ভিত্তি হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।

ইশতেহার প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইশতেহার প্রণয়নে বিভিন্ন পেশাজীবীদের মতামতের পাশাপাশি গণমানুষেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কমিটিতে যারা রয়েছেন, তাদের মাধ্যমে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা পেশাজীবী মানুষ, স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ীসহ সবার মতামত নিয়ে ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে।

নেতারা জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী জনবল গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে পরিকল্পনা করেছে দলটি। এর বাইরে কৃষি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুতের উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়ে থাকছে সুস্পষ্ট কর্মসূচি ও প্রতিশ্রুতি।

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আরও থাকছে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গঠন, বিদেশনির্ভরতা কমানো। এছাড়া, স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে ক্যাশলেস, সার্কুলার, উদ্যোক্তামুখী, জ্ঞানভিত্তিক, গবেষণা ও উদ্ভাবননির্ভরতার বিষয়গুলো ইশতেহারে দেখা যেতে পারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের ইশতেহারে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি; ক্ষুদ্র, কুটির, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প গড়ে তোলা; ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের প্রতিশ্রুতি থাকছে। এছাড়া, ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন করে রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন নতুন বাজার সন্ধান, দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ডিজিটাল ডিভাইসের নিজস্ব বাজার সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা আছে। ইশতেহারে মানুষের মৌলিক চাহিদা—অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, তৃণমূল পর্যন্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, দারিদ্র্যের হার আরো কমিয়ে হতদরিদ্রের হার শূন্যে নামিয়ে আনাসহ মানুষের জীবনমান উন্নত করার বিষয় থাকছে।

ইশতেহারে বিগত নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের হিসাব-নিকাশ যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে নতুন নতুন চমকও।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ