বিএনএ, সাভার : সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলের জন্য দেশীয় অস্ত্র ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মহড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কাইয়ুম খান নামের এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
গত কয়েকদিন যাবৎ গাজীরচট এলাকার এস এ আর ইন্টারন্যাশনাল ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার আশপাশের এলাকায় দেশীয় অস্ত্রসহ এই মহড়া চালানো হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কারখানার শ্রমিকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজিরচট এলাকার আমিন মাতব্বরের মালিকানাধীন জমি ক্রয় করে গড়ে উঠে এস এ আর নামের একটি পোশাক কারখানা। সেই সুবাদে গত দুই বছর ধরে ওই কারখানার ঝুট নিয়ে বিক্রি করতেন তিনি। তবে তিনি সরাসরি ঝুট বিক্রি না করে নির্দিষ্ট লভ্যাংশের বিনিময়ে স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুমকে দায়িত্ব দেন।
এদিকে বেশ কিছু দিন যাবৎ আমিন মাতব্বরকে কোন লভ্যাংশ না দিয়েই যুবলীগ নেতা কারখানা থেকে ঝুট বের করে বিক্রি করে দেওয়া শুরু করে। এ কারণে আমিন মাতব্বর যুবলীগ নেতাকে ঝুট বিক্রির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সবুজ নামের এক ব্যবসায়িকে বুঝিয়ে দেয়। সে কারণে যুবলীগ নেতা আমিন মাতব্বরের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানা ঝুট ব্যবসা দখলের জন্য দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় মহড়া চালাতে থাকে। এতে করে নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে পড়ে গিয়েছে ওই কারখানার শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার একাধিক শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ তাদের কারখানার সামনে ও আশপাশের এলাকায় যুবলীগ নেতার লোকজনকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে। সকালে কারখানায় যাওয়ার সময় আবার দুপুরের দিকেও তারা এই চিত্র দেখে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত বলেও জানান।
এ বিষয়ে কারখানার জিএম জিলানী জানান, তারা আমিন মাতব্বরের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে কারখানাটি গড়ে তুলেছেন। সেই সুবাদে কারখানার ঝুট তাকেই দেওয়া হয়। আমিন মাতব্বরের মাধ্যমেই ওই যুবলীগ নেতা মালামাল বের করে নিয়ে যেত। তবে কয়েকদিন যাবৎ তাদের মধ্যে ঝামেলা হওয়ায় আমরা যুবলীগ নেতার কাছে ঝুট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া যুবলীগ নেতার মহড়ার বিষয়টি কারখানার বহিরাগত বিষয় বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, আমিন মাতব্বর এখন ঝুট নেওয়ার দায়িত্ব তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। আর সে কারণেই ওই যুবলীগ নেতা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালানোর জন্য মহড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা কাইয়ুম বলেন, তিনি ওই কারখানায় আগে থেকেই ঝুটের ব্যবসা করেন। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে তার কোন চুক্তিপত্র নেই বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার এসআই আসওয়াদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে সেখানে যেন আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির কোন অবনতি না হয় যে জন্য তাদেরকে কঠোর হুঁশিয়ার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনএ/ইমরান খান,ওজি