বিএনএ, জামালপুর: ধর্ষণ মামলায় তিন বছরেও গ্রেফতার হয়নি জামালপুরের বকশীগঞ্জের পলাশতলা সকাল বাজার গ্রামের ধর্ষক মিনার। একাধিকবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও ধর্ষক মিনার দাপটের সাথেই তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষক মনিরের হুমকির মুখে নিজ বাড়ি-ঘর ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন ধর্ষিতার পরিবার। বিচারের আশায় ঘুরছে দ্বারে দ্বারে। নিজ বাড়িতে অবস্থান না করায় ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পড়া লেখা বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় পলাশতলা সকাল বাজারের বাসিন্দা লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ২০১৯ সালের ২১ জুলাই ধর্ষনের শিকার হন। একই গ্রামের কুহিল উদ্দিনের ছেলে মিনার (১৯) ওই স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার বাবা মনির বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৮ আগষ্ট বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৩, ৮.৮.২০১৯, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)। মামলাটি তদন্ত করেন বকশীগঞ্জ থানার এসআই শরীফ আহমেদ। মামলা দায়েরের ৬৫ দিন পর মামলার তদন্তকারী কর্মর্কতা এসআই শরিফ আহমেদ মামলার চার্জশীট দেন। তবে মামলার একমাত্র আসামি ধর্ষক মিনার গ্রেফতার হয়নি।
মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ধর্ষক মিনারের পরিবারের লোকজন নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে মামলার বাদী মনিরকে। আসামি পরিবারের চাপের মুখে মামলার বাদী নিজবাড়ি ঘর ছেড়ে স্বপরিবারে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিবাদী পরিবারের হুমকির মুখে নিজ বাড়ি ঘরে ফিরতে পারছে না ধর্ষিতার পরিবার। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পড়া লেখাও বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে ধর্ষক মিনার দাপটের সাথেই তার কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন। বিজ্ঞ আদালত থেকে একাধিকবার গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি হলেও পুলিশ ধর্ষক মিনারকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর বাবা মনির জানান, ধর্ষক মিনারকে গ্রেফতার করানোর জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যথাযথ সহায়তা না পাওয়ায় ধর্ষক মিনারকে গ্রেফতার করাতে পারিনি। মিনার ও তার পরিবারের লোকজনের হুমকির মুখে আমি স্বাপরিবারে নিজ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। এখনও ধর্ষক মিনারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু মিনার গ্রেফতার হয়নি।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষক মিনারকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে। তবে আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। আসামিকে গ্রেফতারে বাদীপক্ষকে সহায়তা করতে হবে।
বিএনএ/শাহীন, এমএফ