27 C
আবহাওয়া
১০:৪৬ অপরাহ্ণ - আগস্ট ১৩, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » রাউজানে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে দখলদার ও চাঁদাবাজরা

রাউজানে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে দখলদার ও চাঁদাবাজরা


বিএনএ, চট্টগ্রাম: মাটিকাটা, বালুমহাল দখল, চাঁদাবাজি, কমিশন বাণিজ্যে জড়িত সন্ত্রাসীরা রাউজানে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে আড়াল করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনীতির ছত্রছায়া। গত শনিবার নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার এসব অভিযোগ করেন। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ৫ আগস্টের পর রাউজানে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমি মনে করি, যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। পরিষ্কারভাবে আমি বললাম, রাজনৈতিক কোনো নেতার দ্বন্দ্বে এগুলো হয়নি। আপনারা যদি শুরু থেকে তালাশ করেন মূলত ১৯৮৫ সালের পর থেকে ফারুক হত্যার মাধ্যমে হত্যার ঘটনা শুরু রাউজানে। এ পর্যন্ত শতাধিক ছাত্র-যুবককে প্রাণ দিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা এসব হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিল। গত ৫ আগস্ট পটপরির্বতনের পরে আবার সেই হত্যাকাণ্ড গুলো শুরু হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ হচ্ছে মাটিকাটা, খালের বৈধ-অবৈধ বালুমহাল দখল, দখলের দ্বন্দ্ব, চাঁদাবাজি। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারদের থেকে কমিশন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ডগুলো করে আসছে।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাসে রাউজানে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র কেনা হয়েছে। এটা অনেকেই জানেন হয়তো প্রশাসনও জানে। সুতরাং সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করার জন্য রাজনীতির ছত্রছায়া ব্যবহার করছে। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাদের নামে অসংখ্য মামলা। আমি জীবনে কাউকে একটা ঢিল মারিনি। আমাকে রাজপথের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন আমি কারাগারে ছিলাম। শুধু আমি না, আমাদের অনেক নেতাকর্মীর নামে মামলা আছে। কিন্তু সেই সুবাদে এখন কেউ যদি অপরাধ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে বসে থাকে তা হলে আমাদের ফাইন্ডআউট করা উচিত। সেটাকে যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত বলে মনে করি।

রাউজানের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের আসামি করা নিয়ে চাঁদাবাজি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার পরই দেখা যায়, কাদের নামে মামলা দিলে চাঁদা আদায় করা যাবে তা দেখা হচ্ছে। তা নিয়ে চলে তোড়জোড়। কোনো সন্ত্রাসী দলের নেতাকর্মী হতে পারে না। কারণ প্রকৃত নেতা সন্ত্রাসী হতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হানিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস চৌধুরী, কাজী সালাউদ্দিন, মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, ফটিকছড়ি পূর্ব জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আজিজল্লাহ বাহার, রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, আহ্বায়ক আবুল হাসনাত প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের রাউজানে গেল সাড়ে ৮ মাসে ১১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮টি হত্যাকাণ্ডই রাজনৈতিক। খুনের শিকার বেশিরভাগ বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের কর্মী। সর্বশেষ গেল সপ্তাহে তিন দিনের ব্যবধানে দুই যুবদল কর্মী খুন হয়। খুনের ঘটনার জন্য রাউজানের দুই প্রভাবশালী বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং গোলাম আকবর খোন্দকার অনুসারী কর্মীদের দায়ী করা হচ্ছে।

বিএনএনিউজ/ নাবিদ

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ